নবেন্দু বাড়ৈ, জলপাইগুড়ি : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হয় রাজগঞ্জ ব্লকের শিকারপুর চা-বাগানে ঐতিহাসিক দেবীচৌধুরানী ও ভবানী পাঠকের মন্দিরটির। মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানানো হবে, যাতে তিনিই নবরূপে নির্মিত মন্দিরটির দ্বারোদ্ঘাটন করেন। জানালেন জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান তথা রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঐতিহাসিক এই মন্দির। শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছিল বলে জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন- লগ্নি করার এটাই সঠিক সময় : পার্থ চট্টোপাধ্যায়
শিলিগুড়ি পুর কর্পোরেশনের প্রশাসক গৌতম দেব ও বিধায়ক খগেশ্বর রায় কিছুদিন আগেই মন্দিরের কাজকর্ম খতিয়ে দেখে গেছেন। মূর্তি ও বিগ্রহগুলো তৈরি করছেন জেলার শিল্পী বিশ্বজিৎ ঘোষ। পান্ডাপাড়ায় তাঁর কারখানায় মূর্তি ও বিগ্রহ তৈরির কাজ একেবারেই শেষ পর্যায়ে। মন্দির পুনর্নির্মাণে খরচ হচ্ছে প্রায় ১ কোটি টাকা বলে জানা গিয়েছে। বরাবরই পর্যটকদের প্রিয় এই ঐতিহাসিক মন্দিরটিতে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসেন। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উদ্যোগে আদর্শ পর্যটনকেন্দ্র গড়ে উঠতে চলেছে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের ঐতিহাসিক এই মন্দিরকে ঘিরে। নজর দেওয়া হচ্ছে এলাকার সৌন্দর্যায়নেও। মন্দির চত্বরে বসার জায়গা, শৌচাগার তৈরি হয়েছে। বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটনের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানানো হবে।