প্রতিবেদন: ৯/১১র টুইন টাওয়ার হামলা। দুই দশক আগের ঘটনা বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের ভয়ঙ্কর অধ্যায়। ২০২১ সালে আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতিতে ফের নতুন করে আলোচনায় উঠে এল ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের সেই ঘটনা। আফগানিস্তান তালিবান দখলে যাওয়ার পরেই ইতিহাসের পাতা নতুন করে খুলেছে, কারণ ৯/১১ হামলার গোপন নথি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
আর সেই নির্দেশিকা এসেছে তালিবানের টুইন টাওয়ার হামলা নিয়ে আল কায়দাকে ক্লিনচিট দেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই।
আরও পড়ুন- পিছোল তালিবানের সরকার গঠন, তালিবানের পৈশাচিক উল্লাসে প্রাণ গেল ১৮ জনের
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ৯/১১ হামলার নথি আগামী ৬ মাসের মধ্যেই প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন। বাইডেনের ঘোষণা, আমি একটি বিশেষ নির্দেশ দিয়েছি। আমি বিচার বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগকে বলেছি ৯/১১ হামলার বিষয়ে ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের গোপন নথি প্রকাশ করতে হবে। এই কাজ যেন আগামী ৬ মাসের মধ্যে করা হয় তার নির্দেশও দিয়েছি। আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে ঘৃণ্য ওই হামলায় নিহত ২,৯৭৭ জনের পরিবার যে অবর্ণনীয় কষ্ট ও ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে সেটা আমরা কখনওই ভুলে যাব না।
আরও পড়ুন- বেঁচে থাকতেই সৎকারের পরিকল্পনা সারা রানির
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি তালিবান বলেছিল, ৯/১১ হামলার সঙ্গে যে ওসামা বিন লাদেন বা আল কায়দা জড়িত এমন কোনও প্রমাণ নেই। তাদের মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদের দাবি, যখন ওসামা বিন লাদেন আমেরিকানদের মাথাব্যথা হয়ে উঠেছিল, তখন সে আফগানিস্তানেই ছিল। তবে ৯/১১র সঙ্গে যে তার যোগ রয়েছে, তেমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। তালিবানের এই বক্তব্যের পরেই প্রশ্ন উঠছে, শান্তিচুক্তির নাম করে কি আদতে বিশ্ববাসীকে বোকা বানাতে চাইছে তালিবান জঙ্গিরা? না হলে এতদিন পর তারা প্রকাশ্যে জঙ্গি লাদেনকে ক্লিনচিট দিতে নামল কেন? তালিবানের এই ভোলবদলের পরই বাইডেনের এই নির্দেশ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তাহলে কি তালিবানের মুখোশ খুলে দিতেই আমেরিকার এই তৎপরতা? যদিও বাইডেন নিজে অন্য যুক্তি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমি প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের প্রচারে ৯/১১ হামলার নথি প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। সেই মর্মান্তিক দিনের ২০তম বার্ষিকীর আগে কথা রাখতেই আমার এই সিদ্ধান্ত।