সংবাদদাতা, দিঘা : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের ফলে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে জারি ছিল সতর্কতা। পূর্বাভাসের থেকে অনেক বেশি ঝড়ের (Cyclone- Rainfall) তাণ্ডব দেখল দুই জেলা। দিঘা-কাঁথি-খেজুরি উপকূলে কিছু কিছু এলাকায় ৮০ থেকে ১০০ কিমি বেগেও ঝড় হয় রাতভর। তাণ্ডব দেখে অনেকেরই আমফানের স্মৃতি মনে পড়ে। সবচেয়ে ক্ষয়ক্ষতি হয় সমুদ্র তীরবর্তী খেজুরির নিজ কসবা ও জনকা এলাকায়। এ-ছাড়া গোবিন্দপুর, নানকার গোবিন্দপুর, পাঁচুড়িয়া, জশুয়া, ওয়াশিলচক, থানাবেড়িয়া, অরকবাড়ি, কাদিরাবাদচর, দক্ষিণ কলাগাছিয়া জলমগ্ন হয়ে পড়ে। প্রচুর গাছ ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। প্রশাসন শনিবার সকাল থেকেই ভেঙে পড়া গাছ সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করে। বেশ কিছু কাঁচাবাড়ি ভেঙে পড়ে, বিস্তীর্ণ এলাকার লম্বা সময় বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে। একই অবস্থা (Cyclone- Rainfall) হয় রামনগর, কাঁথি, হলদিয়া, নন্দীগ্রামেও। টানা ছুটির জন্য দিঘা, শংকরপুর, মন্দারমণি, তাজপুরে বেড়াতে আসা হাজার হাজার পর্যটক হোটেলবন্দি হয়ে পড়েন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বেশ কিছু এলাকায় কয়েকশো বাড়ির ছাদ উড়ে যায়৷ খেজুরিতে পাচুরিয়া, নোনাপোতা, নিচকশবা-সহ বিস্তীর্ণ গ্রামে সমুদ্রের জল ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত হয় একাধিক চাষের জমি। শনিবার সকালেও বৃষ্টি চলে। এলাকা পরিদর্শন করেন পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সমুদ্ভব দাস। মন্দারমণি, তাজপুর-সহ রামনগরের বিস্তীর্ণ জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেন রামনগর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা মহাপাত্র।
আরও পড়ুন: অনায়াস জয়, দুই ম্যাচেই সিরিজ ভারতের