ব্যুরো রিপোর্ট : চা-শ্রমিকদের সুবিধে-অসুবিধে, তাঁদের প্রাপ্য আদায় ইত্যাদি নিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনি থানা ময়দানে এবং নকশালবাড়ি আদিবাসী ময়দানে সভা করতে চলেছেন আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত ও শ্রম ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। রবিবার তৃণমূল চা-শ্রমিক ইউনিয়নের (Tea Workers Union) জেলার প্রথম কেন্দ্রীয় সম্মেলন এটি। একুশের বিধানসভা ভোটের পর সাফল্যের সঙ্গে চা-শ্রমিকদের একটি মাত্র সংগঠন তৈরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই সংগঠন গঠিত হওয়ার পর থেকেই উত্তরের চা-বলয়ে বিজেপির জমি হারানো শুরু হয়েছে। এই চা-শ্রমিক সংগঠনের হাত ধরেই চা-বলয়ে ভোট ব্যাঙ্ক মজবুত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। প্রতিটি ইউনিটে ছোট ছোট সম্মেলন করে চা-শ্রমিকদের (Tea Workers Union) জন্য রাজ্য সরকারের সমস্ত প্রকল্পের কথা তুলে ধরা হয়েছে শ্রমিকদের সামনে। শ্রমিকদের দাবি আদায় ও কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হতেই এই সম্মেলনের আয়োজন বলে জানান, তৃণমূল চা-শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীরেন্দ্র ওঁরাও।
শনিবার খড়িবাড়ির মারুতি চা-বাগানের শ্রমিকদের নিয়ে একটি সভা করেন দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নির্জল দে। বলেন, চা-শ্রমিকেরা যে সমস্ত সমস্যায় ভুগছেন তার মধ্যে উল্লেখ্য, ইএলপি মজুরি ২০১৭ সালের পরে আর বাড়েনি। শ্রমিকদের দাবি কেজিপ্রতি টাকা বাড়ানো হোক। আধার কার্ডে ভুল থাকায় পিএফ-এ সমস্যা হচ্ছে। ঠিক করার দাবি জানালেও কোনও উদ্যোগ নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন: হাতি ও শাবকের রহস্যমৃত্যু