এতদিন ত্রিপুরায় বিজেপি নেতাকর্মীরা তৃণমূলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালাচ্ছিলেন। এবার প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূলকে বাগে আনতে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব নিজেই মাঠে নেমেছেন। ফেসবুকেই ত্রিপুরার তৃণমূল নেতা- কর্মী- সমর্থকদের গ্রেফতারের হুমকি মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের। লিখেছেন,” তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত পশ্চিমবঙ্গে। এখানেও যারা তৃনমুলে যোগ দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে অসামাজিক কাজকর্মের তথ্যপ্রমাণ রয়েছে । তাদের গ্রেপ্তার করাবো”।
গত এক মাসেরও বেশি সময়ে ত্রিপুরায় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব যেভাবে রাজনৈতিক ঝাঁজ বাড়িয়েছেন এবং সংগঠনকে শক্তিশালী করতে একের পর এক নেতা-নেত্রী সেখানে ঘাঁটি গেড়ে পড়ে থাকছেন তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছিল ত্রিপুরার বিজেপি নেতৃত্ব। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক, সাংসদ দোলা সেন, সাংসদ ডঃ শান্তনু সেন এবং তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র ত্রিপুরা ঘাঁটি গেড়ে সাংগঠনিক কাজ করছেন। সুস্মিতা দেব তিনিও ঘাঁটি গেড়েছেন আগরতলায়। প্রত্যেকদিনই কোনও না কোনও রাজনৈতিক দল থেকে নেতা-কর্মী-সমর্থক যোগ দিচ্ছেন। আর তাতেই ভয় পেয়েছে বিজেপি। ত্রিপুরার বিজেপি নেতারা এই চাপ সামলাতে পারছেন না। তাই দিল্লির বিজেপি নেতারা এবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে আসরে নামিয়ে দিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকেই। এরপরই প্রকাশ্যে গ্রেফতারের হুমকি।
আরও পড়ুন: বেসুরো বিজেপি বিধায়ক, থাকছেন না দলীয় কর্মসূচিতে
তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দলের গুন্ডাদের লেলিয়ে দিয়ে তৃণমূলকে ভয় পাওয়ানো যায়নি। রেখা যায়নি। তাই এবার পুলিশ-প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে তৃনমূল কংগ্রেসকে দমাতে চাইছে বিজেপি। যদিও তা সম্ভব হবে না বলে আগেই বলেছে তৃনমূল। রবিবারও দিল্লি যাওয়ার আগে তৃনমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বলেছেন, তৃনমুল কারও কাছে মাথা নত করবে না।