আগরতলা : শিক্ষক দিবসেও ত্রিপুরায় আক্রান্ত তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এখানে হামলা ও মামলা চলছেই। এদিন ধলাই জেলার আমবাসায় কর্মিসভা ছিল তৃণমূলের। সভা শেষে বাড়ি ফেরার পথে বিজেপির যুব মোর্চার কর্মীরা হামলা চালায় তৃণমূল কর্মীদের ওপর। আহত হন বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থক। স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ইটপাটকেলও ছোঁড়া হয়। এদিনই ত্রিপুরার লড়াকু নেত্রী পান্না দেবকে মিথ্যে মামলায় গ্রেফতার করে আগরতলার পুলিশ। একটি পারিবারিক ঘটনায় কথা বলার জন্য থানায় ডেকে পান্না দেবকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: নয়া ছক বিজেপির, ত্রিপুরায় তৃণমূল নেতাদের রুখতে গ্রেপ্তারির হুমকি বিপ্লব দেবের
ত্রিপুরার তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক জানান, ক্রমাগত এই হামলা ও মামলার ঘটনার প্রতিবাদে আজ আগরতলা-সহ ত্রিপুরার বিভিন্ন জায়গায় থানা ঘেরাও করবে তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবারও আগরতলার তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে মন্ত্রী মলয় ঘটক, সুস্মিতা দেব এবং সুবল ভৌমিকের হাত ধরে ৩০০ কর্মী-সমর্থক অন্যান্য দল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। যোগদানকারীদের মধ্যে কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন ডাকাবুকো যুবনেতা রয়েছেন। এদিন আগরতলাতেই বেশ কয়েকটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তৃণমূল নেতৃত্ব৷ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এবং পরিকল্পনায় আগামী দিনে ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস কীভাবে সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে চায়, তা নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেন মলয় ঘটক, সুস্মিতা দেব, সুবল ভৌমিক-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। মলয় ঘটক বলেন, ‘‘যেভাবে অন্য দল থেকে নেতা-কর্মীরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন, তাতে আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেস এখানে বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হবে।’’ সুস্মিতা আজ, সোমবার আগরতলায় কয়েকজন বুদ্ধিজীবীর বাড়িতে যাবেন।