ত্রিপুরায় তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুবল ভৌমিক যোগ দিতে চলেছেন গেরুয়াশিবিরে। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলিতে এমনই খবর প্রচার পাচ্ছে। বেশ কিছুদিন ধরে তৃণমূলের কর্মসূচিতেও অংশ নিতে দেখা যায়নি সুবলবাবুকে। খোদ দলের রাজ্য সভাপতির এমন আচরণ তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বর মধ্যে অসন্তোষের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সময়ের সঙ্গে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি যোগ স্পষ্ট হতেই সুবল ভৌমিককে রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল।
আরও পড়ুন-ইউএস ওপেনে নেই সানিয়া, অবসর নিয়েও মত পরিবর্তন
আজ, বুধবার ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূলের পক্ষ থেকেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুবল ভৌমিককে প্রদেশ সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। আপাতত নতুন সভাপতি না আসা পর্যন্ত ত্রিপুরা তৃণমূলের যাবতীয় কাজ সামলাবেন দলের ইনচার্জ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুস্মিতা দেব।
আরও পড়ুন-পরিবেশবান্ধব পরিবহণই লক্ষ্য
চলতি বছর এপ্রিলে সুবল ভৌমিককে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি করা হয়েছিল। আগামী বছর ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। সুবল ভৌমিক ত্রিপুরা তৃণমূলের সভাপতি হওয়ার পর থেকে দলে তুমুল অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল। ২০২১ সালে ত্রিপুরায় পুর নির্বাচনে লড়াই করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। সেই পুরভোটে বাম-কংগ্রেসকে টপকে শতাংশের বিচারে দ্বিতীয় স্থান দখল করে তৃণমূল। কিন্তু চলতি বছর বিধানসভা উপনির্বাচনে একেবারে আশানুরূপ ফল হয়নি তৃণমূলের। উপনির্বাচনে নিজের ঘনিষ্ঠদের সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সুবলের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দেগে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে আগেই কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন বাপটু চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন-দুবাই পৌঁছলেন রোহিতরা, এশিয়া কাপের আগে কোভিড আক্রান্ত দ্রাবিড়
এদিকে গোপনে গোপনে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন সুবল ভৌমিক। যা নিয়ে তৃণমূলের একটি বড় অংশ সুবল ভৌমিকের বিরুদ্ধে শীর্ষ নেতৃত্বকে নালিশ জানিয়েছিল। তাঁর জন্য দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিচ্ছিল। তাই এবার সেই সুবল ভৌমিককে সরিয়ে দিল তৃণমূল।