পূর্ণেন্দু রায় , নয়াদিল্লি : ২৫ সেপ্টেম্বরের বদলে ২৭ সেপ্টেম্বর ভারত বন্ধের ডাক দিল নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনরত কৃষক সংগঠনগুলির সম্মিলিত মোর্চা। একইসঙ্গে আগামী বছরের শুরুতে বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে, বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রচার চালিয়ে যাওয়ার সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছে আন্দোলনরত কৃষকরা। রবিবার উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরে ঐতিহাসিক কৃষক মহাপঞ্চায়েতের মঞ্চ থেকে সংযুক্ত কিসান মোর্চার নেতারা বলেছেন, কেন্দ্র বলেছে, মুষ্টিমেয় কয়েকজন কৃষকই প্রতিবাদ করছে। আজ তারা দেখে যাক কতজন প্রতিবাদ করছে। আসুন আজ আমরা এমন আওয়াজ তুলি যাতে সংসদে যারা বসে তাদের কানে তা সমুদ্রগর্জন হয়ে পৌঁছায়। গত ৯ মাস ধরে দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের সিংঘু, টিকরি, গাজিপুর সীমান্তে কৃষকরা অবস্থান-বিক্ষোভ করছে ৪০টি কৃষক সংগঠনের মঞ্চ সংযুক্ত কিসান মোর্চার নেতৃত্বে। এই মোর্চার আহ্বানেই রবিবার কৃষক মহাপঞ্চায়েতে অংশ নিয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। শুধু উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থানের কৃষকরাই নয়, মহাপঞ্চায়েতে শামিল হয়েছিলেন দেশের অন্তত ১৫টি রাজ্যের ৩০০-র বেশি ছাত্র-যুব-মহিলা-শিক্ষক-সামাজিক-অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী- শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন- বাংলার হরিস্বামী-সহ ৪৪ শিক্ষক পুরস্কৃত
মহাপঞ্চায়েতে ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন নেতা রাকেশ টিকাইত কেন্দ্রের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দিল্লির সীমান্তে কৃষকদের প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে এমনকী সেখানে আমাদের কবর তৈরি হলেও। রাকেশ টিকাইত বলেন, প্রয়োজনে আমরা আমাদের জীবনও দেব কিন্তু বিজয়ী না হওয়া পর্যন্ত আমরা ধর্না ছাড়ব না। মুজাফ্ফরনগরের জিআইসি গ্রাউন্ডে মহাপঞ্চায়েতে অংশ নিতে মিরাট থেকে পৌঁছেছিলেন রাকেশ টিকাইত।
টিকাইত মঞ্চে উঠেই ‘আল্লাহু আকবর’ এবং ‘হর হর মহাদেব’ স্লোগান দিয়ে বলেন, আল্লাহু আকবর এবং হর-হর মহাদেবের স্লোগান আগেও দেওয়া হত এবং আগামীদিনেও তা অব্যাহত থাকবে। ক্ষমতাসীন লোকেরা বিভাজনের কাজ করছে। আমাদের তাদের থামাতে হবে। আমরা উত্তরপ্রদেশের জমি দাঙ্গাকারীদের হাতে তুলে দেব না। মোদি সরকারের নগদীকরণ নীতি লক্ষ্য করে রাকেশ টিকাইত বলেন, ওই নীতির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই ‘মিশন ইউপি’ নয়, ওই লড়াইটা ‘মিশন ইন্ডিয়া’। আমাদের মিশন ইন্ডিয়া দেশের সংবিধান, সম্পদ, স্বনির্ভরতা রক্ষার লড়াই।