প্রতিবেদন : সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে যোগীরাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। যোগীরাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা বড়সড় প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় উন্নাও (Uttar Pradesh-Unnao) জেলায় ফের শ্লীলতাহানির শিকার হলেন এক দলিত তরুণী। জানা গিয়েছে, অচলগঞ্জ থানা এলাকায় মেলা দেখতে গিয়ে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন ওই দলিত তরুণী। শুধু তাই নয়, থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েও ফের একপ্রস্থ হেনস্তা হতে হয়েছে ওই তরুণীর পরিবারকে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য অচলগঞ্জ থানায় তরুণীর পরিবার অভিযোগ দায়ের করেছে৷ উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের জুন মাসে এক নাবালিকা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh-Unnao) উন্নাওয়ের বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারের বিরুদ্ধে। তবে শুধু কিশোরীকে ধর্ষণ নয়, তাঁর বাবাকেও মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এমনকী, জেলবন্দি অবস্থাতেই কিশোরীর বাবার মৃত্যু হয়েছিল। যদিও ওই ঘটনায় শেষ পর্যন্ত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল কুলদীপের।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু প্রতিরোধে পথে নামল উলুবেড়িয়া পুর প্রশাসন
তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, তাঁরা থানায় গেলে পুলিশ কর্মীরা তাঁদের থানায় ঢুকতে দেয়নি। বরং পুলিশ শ্লীলতাহানির সঙ্গে যুক্তদের চেয়ার বসতে দেয়। শ্লীলতাহানিকারীদের চেয়ারে বসে থাকতে দেখে তরুণীর পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। এরপর বাধ্য হয়ে থানা অভিযোগ গ্রহণ করে। জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় উন্নাওয়ের ওই তরুণী তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে মেলা দেখতে গিয়েছিলেন। কিন্তু মেলায় বেশ কয়েকজন লোক ওই তরুণীকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে। তারা তরুণীর ওড়নায় টান মেরে তাঁকে নিজেদের কাছে টেনে নেয়। এর প্রতিবাদ করে ওই তরুণীর ভাই৷ অভিযোগ, এরপর অভিযুক্তরা তরুণী ও তাঁর ভাইকে বেধড়ক মারধর করে। ওই তরুণীর বাবা বলেছেন, তাঁর ছেলে ও মেয়ে আতঙ্কে ভুগছেন। পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কারণ অভিযুক্তরা সকলেই উচ্চবর্ণের। তাঁরা দলিত বলে তাঁদের কথা শুনছে না পুলিশ। অচলগঞ্জ থানার ওসি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় উভয় পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত চলছে। তদন্তের শেষ হলেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।