প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সোমবার রাতেই মহানগরীর রাস্তার হাল খতিয়ে দেখতে রাস্তায় নামল পুলিশ এবং পুরসভা। বেহাল রাস্তা সারাতে শুরু হল যুদ্ধকালীন তৎপরতা। কয়েকদিন আগেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৭৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রামপেয়ারি রামের ছেলে রামকিঙ্কর রাম। সোমবার রাতে খিদিরপুরে তাঁর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। খারাপ রাস্তাগুলি চিহ্নিত করে দ্রুত মেরামতির ব্যবস্থা করতে তখনই ডিজিকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-কোভিডভীতি কাটিয়ে ভিড় পুজোর কেনাকাটায়
এর কিছুক্ষণের মধ্যেই রাস্তার হাল দেখতে নেমে পড়েন কলকাতার পুরসভার মেয়র পারিষদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। তার আগেই মহানগরীর সমস্ত বেহাল রাস্তা বা রাস্তার অংশ চিহ্নিত করে ফেলে কলকাতা পুলিশ। জরুরি মেরামতির জন্য ৪০টি রাস্তা এবং এলাকার তালিকা কলকাতা সোমবার পুরসভা, কেএমডিএ, পূর্তবিভাগ, পোর্ট ট্রাস্ট এবং এইচআরবিসি কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েও দেওয়া হয়। দুর্ঘটনা এবং যানজট রুখতে এই রাস্তাগুলি কেন অত্যন্ত দ্রুত মেরামত করা দরকার তার কারণও ব্যাখ্যা করা হয়েছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে। এদিকে পোর্ট ট্রাস্টের আওতাধীন ৩৩টি রাস্তা চারদিনের মধ্যে জরুরি মেরামতের নির্দেশ দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। কয়েকদিন আগেই শহরের ১০০-রও বেশি জরাজীর্ণ রাস্তার তালিকা তৈরি করেছিল পুলিশ ও পুরসভা।
আরও পড়ুন-ঝুলনের জায়গা কেউ নিতে পারবে না : হরমন
পুজোর আগে প্যাচ ওয়ার্কের জন্য কিছু সুনির্দিষ্ট রাস্তা এবং জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছিল। সেগুলি ছিল মূলত শপিং এরিয়া এবং মণ্ডপমুখী রাস্তাঘাট। ট্রাফিক পুলিশের নয়া তালিকা কিন্তু সামান্য আলাদা। এখানে জোর দেওয়া হয়েছে দুর্ঘটনাপ্রবণ এবং যানজটপ্রবণ রাস্তার উপরে। যে সব রাস্তায় ৮-১০ ইঞ্চি গর্ত হয়ে গিয়েছে বৃষ্টির জল জমে। এরমধ্যে আছে ইএম বাইপাসের বেশ কিছু জায়গা। রয়েছে ডায়মন্ড হারবার রোড, পোস্তা লাগোয়া স্ট্র্যান্ড রোড, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, এজেসি বোস রোড, আলিপুর রোড, বর্ধমান রোড এবং শাহপুর রোড। তালিকা ধরে দ্রুত রাস্তা মেরামতির কাজে নেমে পড়ছে কলকাতা পুরসভা। ট্রাফিক পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানালেন, এসওএস ভিত্তিতে এই রাস্তাগুলি মেরামতির জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। এদিকে গাফিলতির অভিযোগে দুই ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ১০ দিনের মধ্যে বন্দর এলাকার সমস্ত রাস্তার হাল খতিয়ে দেখে বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইঞ্জিনিয়ারদের।