সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : মঙ্গলবার কলকাতা উচ্চ আদালত উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নির্দেশে বিশ্বভারতীর পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক মানস মাইতির উপর সাসপেনশনে স্থগিতাদেশ দিল। আগে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর পাঠানো চিঠির প্রেক্ষিতে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক মানস মাইতির উপর ডিএসটি অর্থাৎ ডিপার্টমেন্ট অফ সায়েন্স এণ্ড টেকনোলজির নিষেধাজ্ঞা আরোপে একইভাবে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কলকাতা উচ্চ আদালত।
আরও পড়ুন-অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে ঠেলাগাড়িতে অন্তঃসত্ত্বা, স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন স্বামী
বিশ্বভারতী ও আবেদনকারী দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক সৌগত ভট্টাচার্য অধ্যাপক মানস মাইতির উপর আরোপিত সাসপেনশনে স্থগিতাদেশ দেয়। পাশাপাশি, নির্দেশ দেয় যে তিরিশ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই নির্দেশের বিরুদ্ধে আবেদন করতে পারে এবং পুজোর এক সপ্তাহের পরে চাইলে হলফনামা জমা দিতে পারে। তার আগে চোদ্দ নভেম্বর এই মামলার অন্তিম শুনানি হবে। আদালত স্পষ্টভাবেই পর্যবেক্ষণে এনেছে যে চলতি বছরের ৪ মে উপাচার্যর নির্দেশে অধ্যাপককে সাসপেনশনের নোটিশ দেন কর্মসচিব।
আরও পড়ুন-গণেশপুজো জমজমাট মেয়েদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকায়
তারপর সতেরো মে ‘ডিএসটি’কে চিঠি দিয়ে অধ্যাপককে আন্তর্জাতিক গবেষণা মঞ্চ থেকে বের করার চেষ্টা করেন। যেটা ‘বিদ্বেষ মূলক’ আচরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের। কর্মসমিতিতে পাঠানোর আগেই উপাচার্য “ডিএসটি”কে চিঠিতে বলছেন যে অধ্যাপক মাইতির বিরুদ্ধে শৃংখলা কমিটি ব্যবস্থা নিতে চলেছে। একত্রিশ মে কর্মসমিতি উপাচার্যর নির্দেশকে অনুমোদিত করে। কিন্তু সতেরো মের চিঠিতে পরিষ্কার যে তখনও অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কোনও চার্জশিট জমা করেনি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।