সংবাদদাতা, কাটোয়া : ফের শিরোনামে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল। ওষুধের ভুয়ো বিল পেশের অভিযোগে ঠিকাদারের বিল আটকে দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই রাগে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে হাসপাতালের সুপার সৌভিক আলমকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠল ঠিকাদার কিংশুক মণ্ডলের বিরুদ্ধে। আতঙ্কিত সুপার কিংশুকের বিরুদ্ধে কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে।
আরও পড়ুন-ফের মুখ পুড়ল বিশ্বভারতীর
দলে ছিলেন মলয় দাস, দেবাশিস হালদার, মহম্মদ শহিদুল ইসলাম, অজিত মল্লিক ও চঞ্চল দত্ত। ২০১৭-র এপ্রিল থেকে ২০২২-র এপ্রিল পর্যন্ত ৫ বছরের সমস্ত রকমের বিল ও টেন্ডার সংক্রান্ত নথি পরীক্ষা করেন সদস্যরা। তাঁদের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। এদিকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করে কিংশুক জানিয়েছে, আমার ৭৫ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। সেটা যাতে দিতে না হয় তাই মিথ্যা অভিযোগে আমাকে জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন সুপার।’ রোগীকল্যাণ সমিতির অন্যতম সদস্য বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জি বলেন, ভুয়ো বিল জমা দিয়ে টাকা তোলার চেষ্টা হচ্ছিল। রোগী কল্যাণ সমিতির সিদ্ধান্তে বিলগুলো পর্যালোচনার জন্য স্বাস্থ্যভবনে পাঠানো হয়েছে।’ এর আগে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকার বিরিয়ানির বিল পেশ নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায় কাটোয়া হাসপাতালে।
আরও পড়ুন-হাইকোর্ট চত্বরে দুর্গাপুজো
এবার শিরোনামে ওষুধের বিল। ঠিকাদার কিংশুকের দাবি, ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২০২১ আর্থিক বছরে কাটোয়া হাসপাতালে ৫০ লাখ টাকা ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়াও হাসপাতালের আসবাব-সহ নির্মাণের কাজে আরও ২৫ লাখ মোট ৭৫ লাখ টাকার বিল জমা দেওয়া হয়েছে। ৩ বছর ধরে বকেয়া না মিটিয়ে হাসপাতালের সুপার আমাক নানাভাবে হেনস্থা করছেন। আদালত আমার প্রাপ্য টাকা মিটিয়ে দিতে বললেও হাসপাতাল সেই নির্দেশ মানছে না।’ এদিকে কাটোয়া হাসপাতালের সুপার সৌভিক আলম হুমকিতে ‘নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন’ জানিয়ে বলেন, ‘উনি প্রায় পৌনে ১ কোটি টাকার অসঙ্গতিপূর্ণ বিল মেটানোর জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। বিষয়টি বিচারাধীন বলে আমি সাড়া না দেওয়ায় উনি আক্রোশবশত ফোনে, সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন।’