প্রতিবেদন : বিধানসভার (West Bengal Legislative Assembly) অধিবেশন কক্ষে আসন বিন্যাস বদল করা হল। নতুন মন্ত্রীদের জন্য জায়গা করা হচ্ছে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত ট্রেজারি বেঞ্চে। আবার ট্রেজারি বেঞ্চের প্রাক্তনীদের জন্য নতুন জায়গা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। তবে আপাতত শূন্যই থাকছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশের আসনটি। সেপ্টেম্বরে বিধানসভার আসন্ন স্বল্পকালীন অধিবেশন ওই আসনে কাউকে বসতে দেওয়া হবে না বলে সূত্রের খবর। এত দিন রাজ্য বিধানসভায় (West Bengal Legislative Assembly) মুখ্যমন্ত্রীর পাশের আসনটিতে বসতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মন্ত্রিসভায় সর্বশেষ রদবদলের পর বিধানসভায় বিধায়কদের বসার ব্যবস্থায় বদল আনা হয়েছে। বিধায়কদের বসার আসনে বদল আনা হলেও মুখ্যমন্ত্রীর পাশের আসনে কে বসবেন তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। প্রসঙ্গত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর ওই আসনে রাজ্যের আরেক মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে বসানো হতে পারে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এখনই ফিরহাদ হাকিমকে ওই আসনে বসানো হচ্ছে না। অন্তত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ওই আসনটি কারও জন্য বরাদ্দ করা হয়নি। পরিষদীয় মন্ত্রী ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, সেই হিসেবে পার্থর জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পাশের আসনট বরাদ্দ ছিল। কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সমস্ত মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর তাঁর পরিষদীয় দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে। পার্থর দায়িত্ব পাওয়ার পর রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করেছিল ওই আসনটি শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পেতে পারেন। কিন্তু বিধানসভা সূত্রের খবর, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বা ফিরহাদ হাকিম, কাউকেই আপাতত ওই আসনটি ছাড়া হচ্ছে না। যদিও আগামীদিনে কাকে ওই আসনে বসানো হবে, বা আদৌ বসানো হবে কি না, সে বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আসন্ন স্বল্পকালীন অধিবেশনে যে ওই আসনে কাউকে বসানো হবে না তা এক প্রকার নিশ্চিত। সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়ে গিয়েছে।