সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার : বুনো ওলকে জব্দ করতে বাঘা তেঁতুল লাগে। এবার সেই ওল এখন পরিত্রাতা বুনো হাতির হামলা ঠেকানোর। পুরোপুরি উল্টোপুরাণ আলিপুরদুয়ারের কালচিনিতে। কৃষকদের কষ্টার্জিত ফসলের সিংহভাগই চলে যায় হাতির (Elephant) পেটে। চাষিরা প্রবল সঙ্কটে পড়েন। পরিত্রাণ পেতে চাষিরা শুরু করেন ওলচাষ। কারণ ওলে ঘোর অরুচি হাতিদের। ওলের রসে ওদের মুখে প্রচণ্ড চুলকুনির সৃষ্টি করে। হাতিরা অত্যন্ত বুদ্ধিমান, তাদের স্মৃতিশক্তিও প্রখর। ফলে তারা এড়িয়ে চলে ওলগাছ। সেই ওলই হয়েছে চাষিদের হাতিয়ার। কালচিনি ব্লক বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প লাগোয়া এলাকায় অন্ধকার নামতেই ফসলের খেতে হাতিদের হানা নিত্য দিনের ঘটনা। ফসল বাঁচাতে অসম লড়াইয়ে নেমে বারবার ব্যর্থ হতে হয়েছে চাষিদের। অবশেষে ওলের চালেই ঘোল খাওয়ানো যাচ্ছে হাতিদের (Elephant)। তা ছাড়া সবজিবাজারে ওলের চাহিদাও আছে। পাইকারি বাজারে ওল-কচু বিক্রি হয় ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি। গাছ লাগানোর ছ’মাসের মাথায় ফসল ঘরে তোলা যায়। ফলে বছরে দুবার ওই ফসল ঘরে তুলতে পারেন কৃষকরা। বিকল্প ওলচাষে কৃষকেরা যেমন অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন, তেমনই হাতির হানাদারিও রোখা সম্ভব হচ্ছে। বন দফতর ও ব্লক কৃষি দফতরের পক্ষে ওলচাষে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন-চা-বলয়ে নতুন আন্দোলনের অভিষেক