কথাসাহিত্য
সম্পাদক : সবিতেন্দ্রনাথ রায়
৭৪ বছরের পত্রিকা ‘কথাসাহিত্য’। প্রকাশিত হচ্ছে মিত্র ও ঘোষ থেকে। মেলবন্ধন ঘটিয়েছে আভিজাত্যের সঙ্গে আধুনিকতার। একটা সময় বহু দিকপাল সাহিত্যিক সমৃদ্ধ করেছেন। এখন লিখছেন এই সময়ের খ্যাতনামা লেখকরা। তাই পত্রিকাটি ঘিরে বরাবর পাঠকমহলে আগ্রহ থাকে।
কিছুদিন আগেই বেরিয়েছে শারদীয়া ১৪২৯ সংখ্যা। ৪২০ পৃষ্ঠার সংখ্যাটিতে আছে বিভিন্ন বিষয়ের সাহিত্য-সম্ভার। আকর্ষণের কেন্দ্রে পাঁচটি উপন্যাস।
দীপান্বিতা রায়ের উপন্যাসের নাম ‘চোরকাঁটা’। বিশুদ্ধ সামাজিক উপন্যাস। মিত্রা নামের একটি মেয়েকে ঘিরে দানা বেঁধেছে কাহিনি।
শুদ্ধসত্ত্ব ঘোষের উপন্যাসের নাম ‘জলের প্রতিভা’। লেখাটি পড়তে পড়তে চোখের সামনে একটি অবয়ব ভেসে ওঠে। সেটা ‘বনলতা সেন’-এর স্রষ্টা জীবনানন্দ দাশের। কাহিনিতে তিনি জে দাশগুপ্ত। সমগ্র উপন্যাস জুড়ে তাঁর স্নিগ্ধ উপস্থিতি। আছে আরও কয়েকজন স্বনামধন্য কবি, লেখকের প্রসঙ্গ। বাস্তব এবং কল্পনার মিশেলে গাঁথা হয়েছে অনবদ্য এই কাহিনি। পাঠান্তে আরাম লাগে প্রাণে।
জয়দীপ চক্রবর্তীর উপন্যাস ‘সমান্তরাল’। বহু চরিত্রের সমাহার। কিছু চেনা, কিছু অচেনা। সহজ সরলভাবে এগিয়েছে কাহিনি। পড়তে ভাল লাগে।
আরও পড়ুন-রেকর্ড পতন পাউন্ডে
আছে জয়ন্ত দে-র উপন্যাস ‘পুরুষমানুষ’। কাহিনির কেন্দ্রে একটি মেয়ে। সে মারাত্মক পুরুষবিদ্বেষী। মনে করে, পৃথিবীতে দুটি পক্ষ। নারী ও পুরুষ। তার এই ধারণা হয়েছে আশেপাশের মহিলাদের অত্যাচারিত হতে দেখেই। প্রতি মুহূর্তে বদলা নেওয়ার চেষ্টা করে। উপন্যাসটি টানটান। একদমে পড়ে ফেলা যায়।
পঞ্চম উপন্যাস সায়ন্তনী পূততুণ্ডর ‘আজি হতে শতবর্ষ আগে’। সাসপেন্স থ্রিলার। আছে ঘটনার ঘনঘটা। লেখিকা নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেছেন।
আছে কয়েকটি মূল্যবান প্রবন্ধ। পূর্বা সেনগুপ্তর লেখার শিরোনাম ‘অকালবোধন ও দেবী দুর্গার আরাধনা’। দেবী দুর্গা কে, কীভাবে হল তাঁর সৃষ্টি, পুরাণ-অশ্রিত লেখাটি পড়ে জানা যায়।
আরও পড়ুন-কৃষকের অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে ট্রাক্টরে পিষে খুন ঋণ সংস্থার কর্মীর
রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে অনবদ্য প্রবন্ধ লিখেছেন বারিদবরণ ঘোষ। অভীক মজুমদারের লেখার বিষয় অবনীন্দ্রনাথ। শুভাপ্রসন্নর লিখেছেন ডাকটিকিট নিয়ে। প্রচেত গুপ্তর লেখায় ফুটে উঠেছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং তৎকালীন পাড়া সংস্কৃতির চিত্র। আছে আরও কয়েকটি প্রবন্ধ। লিখেছেন পবিত্র সরকার, অরুণ মুখোপাধ্যায়, ডাঃ পাঞ্চজন্য ঘটক, জয়ন্ত ঘোষাল, পদ্মনাভ দাশগুপ্ত।
গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ভ্রমণ কাহিনির উপর। লিখেছেন ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়, স্বপ্নময় চক্রবর্তী, অমরেন্দ্র চক্রবর্তী। সরিৎ চট্টোপাধ্যায়ের নাটকটি জমজমাট।
গল্প বিভাগ বৈচিত্র্যপূর্ণ। লিখেছেন সমরেশ মজুমদার, হর্ষ দত্ত, তিলোত্তমা মজুমদার, অমর মিত্র, নলিনী বেরা, সৈকত মুখোপাধ্যায়, অভিজ্ঞান রায়চৌধুরি, রাজা ভট্টাচার্য প্রমুখ।
আছে জয় গোস্বামী, সুবোধ সরকার, ঋজুরেখ চক্রবর্তী, শ্রীজাত, উদয়ন ভট্টাচার্য, সঞ্জয় কর্মকার প্রমুখের কবিতা। সৌজন্য চক্রবর্তীর প্রচ্ছদ প্রশংসনীয়। সংখ্যাটি সংগ্রহে রাখার মতো। দাম ১৫০টাকা।
আরও পড়ুন-মোদির জন্মদিনেই বিক্ষোভ গুজরাতে
শতাব্দীর বাংলা
সম্পাদক : অনীশ ঘোষ
এই সময়ের একটি উল্লেখযোগ্য পত্রিকা ‘শতাব্দীর বাংলা’। ১৬০ পৃষ্ঠার শারদ সংখ্যাটি সমৃদ্ধ হয়েছে বিভিন্ন বিষয়ের লেখায়। কিশোর উপন্যাস লিখেছেন মণিভূষণ দুয়ারী। শিরোনাম ‘বন্ধু আম্রপালির পাঁচালি’। আশা করা যায় লেখাটি সব বয়সি পাঠকদের মন জয় করবে।
‘ছেলের বাপ মেয়ের বাপ’ শিরোনামে দুই পৃষ্ঠার অনবদ্য রম্যনাট্য উপহার দিয়েছেন সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়। লেখাটি এই সংখ্যার পরম সম্পদ।
আছে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য গদ্য। বিশেষ রচনা লিখেছেন পবিত্র সরকার। শিরোনাম ‘বহুত্বের দেশ, বহুত্বের পৃথিবী’। নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ীর রচনার শিরোনাম ‘কেন্দ্র-রাজ্য’। ভারতের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের সম্পর্ক ঠিক কীরকম, বিশ্লেষণ করেছেন। এই পথে তিনি নিয়েছেন মহাভারতের আশ্রয়। ডাঃ অমিতাভ ভট্টাচার্য লিখেছেন দুই অভিনেতা বিকাশ রায় ও কমল মিত্রকে নিয়ে। সামনে এসেছে বহু অজানা ঘটনা। কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জীবিতকালেই আর এক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের আবির্ভাব ঘটেছিল। দেখা দিয়েছিল নামবিভ্রাট। বাধ্য হয়ে ‘চরিত্রহীন’ উপন্যাসের লেখক শরৎচন্দ্র কামিয়ে ফেলেছিলাম দাড়িগোঁফ। এই বিষয়ে অসামান্য রচনা উপহার দিয়েছেন অসীম গণ।
আকর্ষণীয় শতবর্ষে বাঙালি বিভাগটি। সুবিনয় রায়কে স্মরণ করেছেন শঙ্করলাল ভট্টাচার্য। তাঁর মতে, সুবিনয় রায় রবীন্দ্রসংগীতের আমির খাঁ। চণ্ডী মুখোপাধ্যায়ের স্মরণে মৃণাল সেন। রমাপদ চৌধুরিকে স্মরণ করেছেন সিদ্ধার্থ সিংহ।
আরও পড়ুন-শেওপুরে দারিদ্র, অপুষ্টির দগদগে ক্ষত, চিতা দিয়ে নজর ঘোরানোর চেষ্টা?
গল্প বিভাগ বৈচিত্র্যপূর্ণ। লিখেছেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সমরেশ মজুমদার, তপন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। আছে একগুচ্ছ অণুগল্প, ভ্রমণ-বিষয়ক লেখা। ছড়া লিখেছেন অশ্রুরঞ্জন চক্রবর্তী, হাননান আহসান, শ্যামাপ্রসাদ ঘোষ, সমর পাল, স্বপনকুমার রায় প্রমুখ। দুই বাংলার কবিদের কবিতায় নির্মলেন্দু গুণ, অসীম সাহা, শাহীন রেজা, তৌফিক জহুরের পাশাপাশি আছেন কালীকৃষ্ণ গুহ, জয় গোস্বামী, শ্যামলকান্তি দাশ, শংকর চক্রবর্তী, সৈয়দ হাসমত জালাল, বীথি চট্টোপাধ্যায়, দীপ মুখোপাধ্যায়, আশিস মিশ্র, সৌমিত বসু, আশিস গিরি প্রমুখ। বহুবর্ণে দুর্গার ছবি এঁকেছেন যোগেন চৌধুরি। অতীন বসাকের প্রচ্ছদ প্রশংসনীয়। সংখ্যাটির দাম ১০০ টাকা।
আরও পড়ুন-বিশ্বকর্মা নিয়ে বিজেপির মিথ্যাচার, পাল্টা জবাব দিল তৃণমূল কংগ্রেস
আমি আমার মতো
সম্পাদক : প্রভাস গোপ
১০ বছরের পত্রিকা ‘আমি আমার মতো’। গত কয়েক বছর ধরে পাঠকমহলে হয়েছে সমাদৃত। জ্ঞানমুদ্রা প্রকাশনের এই ত্রৈমাসিক পত্রিকার শারদ সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। ৩৫২ পৃষ্ঠার সংখ্যাটিতে আছে নানা বিষয়ের লেখা।
রহস্য উপন্যাস লিখেছেন দেবদত্তা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিরোনাম ‘রক্ত কাঁটা’। একটি খুনের ঘটনাকে সামনে রেখে এগিয়েছে কাহিনি।
মনোজিৎ গাইনের উপন্যাস ‘ভয়ঙ্কর পাতালকূপ’। ভারতবর্ষের স্বাধীনতা যুদ্ধের অজানা এক ভয়ঙ্কর ইতিহাস তুলে ধরেছেন লেখক।
আছে আরও একটি উপন্যাস। শাশ্বতী চৌধুরির ‘ডার্টি গেম’। একটি ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে দানা বেঁধেছে কাহিনি।
এ-ছাড়াও আছে বেশ কয়েকটি প্রবন্ধ ও নিবন্ধ। সমুদ্র বসুর ‘দুর্গা পুজোয় ভোগ বৈচিত্র্য’ লেখাটি পড়ে জানা যায় কোন বাড়ির পুজোয় কী ধরনের ভোগ দেওয়া হয়। তথ্যসমৃদ্ধ লেখা। প্রিয়াঙ্কা মুখোপাধ্যায় লিখেছেন ‘এক দুর্গা দালানের আত্মকথা’। খিদিরপুর বাকুলিয়া হাউসের দুর্গাপুজো সম্পর্কে। উৎসবের মেজাজে হত পুজো। আসতেন বহু খ্যাতনামা শিল্পী। সুরের মূর্ছনায় ভেসে যেত খিড়কি থেকে সিংহদুয়ার। চন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের লেখার শিরোনাম ‘আমার দেখা সত্যজিৎ রায়’। বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালককে খুব কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা আন্তরিকতার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন লেখক। দেবাশিস সেন লিখেছেন ‘আমাদের সম্পাদকমশাই’। ‘সন্দেশ’-এর কয়েকজন সম্পাদকের পাশাপাশি এসেছে সত্যজিৎ রায় প্রসঙ্গ। লেখাটি সরস।
আরও পড়ুন-মোহনবাগানের লিগে খেলা নিয়ে জট সেই বহালই
সৈকত মুখোপাধ্যায়, দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য, চুমকি চট্টোপাধ্যায়, দেবযানী বসু কুমার, সাগরিকা রায়, অনন্যা দাশ, হিমি মিত্র রায়ের গল্প মনে দাগ কেটে যায়। অণুগল্প লিখেছেন ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়, বিনোদ ঘোষাল প্রমুখ। পাশাপাশি আছে ভ্রমণ, অনুবাদ, রম্যরচনা, কৃষ্ণেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাব্যনাট্য। কবিতা লিখেছেন স্মরণজিৎ চক্রবর্তী, অনীশ ঘোষ, জয়দীপ চক্রবর্তী প্রমুখ। প্রচ্ছদশিল্পী পিন্টু পাল। দাম ২৯৯ টাকা।
প্রতীতি
সম্পাদক : গৌতম হাজরা
এই সময়ের অনিবার্য সাহিত্যপত্র ‘প্রতীতি’। দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশিত হচ্ছে পাঠক থেকে। বেরিয়েছে শারদীয়া সংখ্যা। মুক্তগদ্য লিখেছেন সুশীল সাহা। শিরোনাম ‘হারিয়ে যাওয়া শারদোৎসব’। কেমন ছিল অতীত দিনের পুজো, লিখেছেন তিনি। ডুব দিয়েছেন নস্টালজিয়ায়। আছে আরও একটি মুক্তগদ্য। লিখেছেন শুভায়ন বসু। বিষয় ‘আমার রবীন্দ্রনাথ’। কবিগুরু কীভাবে আমাদের জীবনের সঙ্গে পরতে পরতে জড়িয়ে আছেন, দেখিয়েছেন লেখক।
আরও পড়ুন-বিশ্বকাপে না থাকলেও নির্বাচকদের নজরে শামি
স্থান পেয়েছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নিবন্ধ। সুমিতা চক্রবর্তী লিখেছেন ‘রবীন্দ্র-সুভাষ ক্যালেন্ডার’। দুই মহান ব্যক্তিত্বের পারস্পরিক সম্পর্কের কথা ধরা পড়েছে এই লেখায়। ‘ব্রাহ্মধর্ম ও নৃপেন্দ্রনারায়ণের বিতর্কিত বিবাহ’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ লিখেছেন রণজিৎ দেব। বিবাহ কেন বিতর্কিত, বিশ্লেষণ করা হয়েছে। কয়েকটি দীর্ঘ কবিতা নিয়ে আলোচনা করেছেন সুজিত সরকার। লেখার শিরোনাম ‘দীর্ঘ কবিতা : ব্যাপ্তির অনুভব, অনুভবের ব্যাপ্তি’। নিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাশ, বুদ্ধদেব বসু, শঙ্খ ঘোষ, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, রিলকের কবিতার আশ্রয়।
এ- ছাড়াও আছে সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়, প্রণব চৌধুরি, কামরুজ্জামান, শুদ্ধেন্দু চক্রবর্তীর নিবন্ধ।
গল্প লিখেছেন তপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও অসীম মৌলিক। আছে অণুগল্প, অনুবাদ গল্প, অনুবাদ কবিতা, গ্রন্থ আলোচনা।
আরও পড়ুন-ফলের গাড়িতে চোরাই কয়লা
ঘটেছে প্রবীণ ও নবীন কবিদের উজ্জ্বল উপস্থিতি। প্রত্যুষপ্রসূন ঘোষ, শ্যামলকান্তি দাশ, মাহমুদ কামাল, শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, তাজিমুর রহমান, অসিতবরণ চট্টোপাধ্যায়, সুবর্ণ রায়, সুস্মেলী দত্ত, অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়, জুলি লাহিড়ী, পাপড়ি ভট্টাচার্য, অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থজিৎ চন্দ, দেবব্রত দত্ত, অমিতাভ রায়, উদয়শঙ্কর বাগ প্রমুখের কবিতা মন ছুঁয়ে যায়।
আছে ঝুমা কোনারের ধারাবাহিক ‘পাথুরিয়াঘাটা ঠাকুরবাড়ির ইতিবৃত্ত’। এবার অষ্টম পর্ব। এই পর্বে বিশেষভাবে আলোকপাত করা হয়েছে সৌরীন্দ্রমোহন ঠাকুরের উপর। তিনি ছিলেন এক আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব। বেশ কয়েকটি গ্রন্থের রচয়িতা। তার মধ্যে আছে সংগীত ও বাদ্যযন্ত্র বিষয়ক কিছু অসামান্য গ্রন্থ। তিনি ভারতীয় সংগীতকে পাশ্চাত্য নোটেশনে রূপবদ্ধ করেছিলেন। লেখাটি একজন অসামান্য ব্যক্তিত্বকে চিনতে এবং জানতে সাহায্য করে। ১১৮ পৃষ্ঠার সংখ্যাটি এককথায় অনবদ্য। প্রচ্ছদ রাজদীপ পুরী। দাম ১৩০ টাকা।