মিতা নন্দী, ঝাড়গ্রাম: প্রায় চারশো বছর ধরে নবপত্রিকায় পুজো হয় জঙ্গলমহলে। ঝাড়গ্রামের বেলেবেড়া রাজবাড়িতে। রাজ আমল থেকেই নবপত্রিকায় পুজো করা রীতি। আড়ম্বর বা আধুনিকতার ছোঁয়া নেই। চোখধাঁধানো মণ্ডপও হয় না। প্রহরাজ রাজবংশ প্রায় ৪০০ বছর ধরে একই রীতিনীতি মেনে করে আসছেন দেবীর (Durga Puja- Jhargram) আরাধনা। পুজো শুরু করেন রাজা নিমাইচাঁদ প্রহরাজ। এসেছিলেন পার্শ্ববর্তী রাজ্য ওড়িশা থেকে। যেহেতু রাধাকৃষ্ণ প্রহরাজ বংশের কুলদেবতা। তাই মূর্তিপুজোর চল নেই। প্রতিমা তৈরি না হলেও, সমস্ত নিয়ম মেনেই পুজো হয়। পাটকাঠি আর মানপাতা দিয়ে নবপত্রিকা তৈরি করে জিতাষ্টমী থেকে পুজো শুরু করেন রাজা। সেদিন থেকে চণ্ডীপাঠও শুরু হত। বর্তমানে পুরনো নিয়মেই বড় পুজো ষষ্ঠীর রাত থেকে শুরু হয়। জানালেন রাজ পরিবারের সদস্য বিশ্বজিৎ দাসমহাপাত্র। বিশ্বজিৎরা পরে পদবি পরিবর্তন করেন। আগে জাঁকজমক হত। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হত। দু-তিনশো লোক খাওয়াদাওয়া করত। এখন রাজা, রাজত্বও নেই, নেই জৌলুসও। লোকজনও কম আসেন। আগের নিয়মেই সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীর রাতে হয় পুজো। দেবির (Durga Puja- Jhargram) ভোগেও বৈচিত্র্য রয়েছে। সকালে থাকে ডাবের জল, লুচি, মিষ্টি, দুপুরে অন্নভোগ, দইয়ের শরবত, রাতে অন্নভোগ, ডাবের জল, পান।