বিজেপির নবান্ন অভিযানে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি কলকাতা পুলিশের এসি (সেন্ট্রাল) দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়। আজ সোমবার তার সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী এসএসকেএমে যান।উডবার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন দেবজিতের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। এরপর হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান মমতা।গত সপ্তাহেই এসএসকেএমে এসে দেবজিতের সঙ্গে দেখা করে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-কড়া হুমকি বাইডেনের
আজ সোমবার সর্বভারতীয় তৃণমূলের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে দেখান হয় হাসপাতালের কেবিনে নিজের বেডে বসে রয়েছেন দেবজিৎ। সামনে দাঁড়িয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী। দেবজিতের সঙ্গে দেখা করে হাসপাতাল থেকে বেরোনোর সময়েও কোনও কথা বলেননি মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-অবশেষে চার্জশিট পেশ
গত সপ্তাহে মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযান কর্মসূচিতে দুষ্কৃতীদের হাতে আহত হন দেবজিৎ। রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়। তার পর থেকে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন পুলিশকর্তা। গত বুধবার তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বিজেপির বিরুদ্ধে ‘গুন্ডামি’র অভিযোগ তুলে বলেন, ‘‘পুলিশ শান্তিপূর্ণ আচরণ করলেও বিনা প্ররোচনায় ইটপাটকেল ছুড়েছেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা।’’অভিষেক আরো বলেন, ‘‘উত্তেজক পরিস্থিতিতে পুলিশের পক্ষে গুলি চালানো সহজ কাজ হলেও পুলিশ তা করেনি। আপনাদের জায়গায় যদি আমি থাকতাম, আমার সামনে যদি পুলিশের গাড়িতে আগুন জ্বলত, আমি মাথার উপরে শুট করতাম।’’
আরও পড়ুন-রাস্তা পরিদর্শনে মেয়র
প্রসঙ্গত বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন কলকাতায় ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিন দিনের দুই মেদিনীপুর সফরে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই অশান্তির ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন মমতা। তিনি বলেন, পুলিশ চাইলেই নবান্ন অভিযানে গুলি চালাতে পারত ।অনেক পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। দেবজিৎকে ওরা কী ভাবে মেরেছে! ওর অপারেশন করাতে হবে! কিন্তু তার পরেও পুলিশ গুলি চালায়নি। চাইলেই পুলিশ গুলি চালাতে পারত। কিন্তু আমি তা মনে করি না। তা কাম্যও নয়। পুলিশ যথেষ্ট সংযত ছিল। তবে যারা অশান্তি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নেবে।’