প্রতিবেদন : কয়েকদিন হল খারকিভ প্রদেশের ইজিয়ুম শহর রুশ সেনার দখলমুক্ত করেছে ইউক্রেন (Ukraine)। শহরের দখল ফিরে পেতেই সেখানে মিলেছে গণকবরের সন্ধান। সেই কবরে চিরশায়িত দেহগুলিতে রুশ সেনার অমানুষিক ও পাশবিক অত্যাচারের চিহ্ন রয়েছে বলে দাবি করছে ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যম।
ইউক্রেন সরকারের তরফে কবর খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়েছে একের পর এক দেহ। মৃতদেহগুলি পর্যবেক্ষণের পর দেখা গিয়েছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কারও কারও যৌনাঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে। কারও নাক-কান কেটে দেওয়া হয়েছে। কারও উপড়ে নেওয়া হয়েছে চোখ। ইজিয়ুমের গণকবর থেকে উদ্ধার হওয়া সমস্ত দেহেই রয়েছে নির্মম আঘাতের চিহ্ন।
ইউক্রেনের (Ukraine) অভ্যন্তরীণ বিষয়ক উপমন্ত্রী ইয়েভহেনি ইয়েনিন বলেছেন, আমরা প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন দেহ উদ্ধার করছি। মৃতেরা সকলেই মৃত্যুর আগে চরম অমানুষিক অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। মৃতদের মধ্যে কারও হাত-পা ভাঙা, কারও পাঁজর ভাঙা, কারও খুলি থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, হাত-পা বাঁধা মৃতদেহও মিলেছে। রয়েছে শিশুর দেহও।
আরও পড়ুন-ঝুলনের বায়োপিক চাকদহ এক্সপ্রেস, অনুষ্কাকে বোলিং টিপস দেননি বিরাট
খারকিভ প্রশাসন সূত্রের খবর, মৃতেরা সকলেই সাধারণ নাগরিক। কীভাবে তাঁদের উপর অত্যাতার করা হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেছে প্রশাসন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সেনা আধিকারিক আলেকজান্ডার দার্নিকভের হাতে বেশ কয়েক মাস পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনে সেনা অভিযানের দায়িত্ব ছিল। সিরিয়ার কসাই নামে পরিচিত দার্নিকভের বিরুদ্ধে আগেও গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে।