স্টার জলসা
মহালয়া উপলক্ষে স্টার জলসার এ বছরের অনুষ্ঠান, ‘যা চণ্ডী’। বেশ কিছুদিন ধরেই সোশ্যাল মাধ্যমে প্রচার চালানো হচ্ছিল চ্যানেলের তরফে। ‘সোনার তরী পার্বতী। ভয়ঙ্করী চামুণ্ডা। অসুরদলনী মহিষাসুরমর্দিনী। আমি ফিরে আসি বারবার। রক্ষা করতে জগৎ সংসার।’ এবারের মহালয়ার অনুষ্ঠানের এই চ্যানেলে সুর এটাই। আদ্যাশক্তি মহামায়ার বারোটি রূপের সমাহার ঘটবে। শুভ-অশুভের দ্বন্দের প্রেক্ষাপটে সমুদ্র মন্থন দিয়ে শুরু হবে কাহিনি। মধু-কৈটভের আবির্ভাবের আখ্যানের সঙ্গে চণ্ড-মুণ্ড, রক্তবীজ, শুম্ভ- নিশুম্ভের মতো অশুভ শক্তির হাত থেকে ব্রহ্মাণ্ডকে বাঁচাতে যুগে যুগে নানা রূপে দেবীর আবির্ভাবকে কেন্দ্র করেই গাঁথা হয়েছে কাহিনি।
আরও পড়ুন-দুর্গাপুজোর প্রহর গুনছে বাংলাদেশ
তবে এই বছর নামী সেলেব বা বড় পর্দার তারকাদের কাউকে দুর্গা সাজানো হয়নি। চ্যানেলের চলতি ধারাবাহিকের প্রধান চরিত্রদেরই দেখা যাবে মহালয়ার অনুষ্ঠানে। দেবী দুর্গা রূপে এখানে ধরা দিয়েছেন ‘এক্কা-দোক্কা’ ধারাবাহিকের রাধিকা, সোনামণি সাহা। আছেন ‘সাহেবের চিঠি’ ধারাবাহিকের চিঠি ওরফে দেবচন্দ্রিমা, ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ ধারাবাহিকের দীপা, স্বস্তিকা, আলতা-ফড়িং-এর ফড়িং। সব শেষে অসুরদলনী দুর্গার কোমল রূপে থাকবেন ‘গাঁটছড়া’র খড়ি। সম্প্রচারিত হবে, ভোর পাঁচটায়।
জি বাংলা
জি-বাংলার এবারের মহালয়ার অনুষ্ঠানের নাম, ‘সিংহবাহিনী ত্রিনয়নী’। শিশু গণেশের সঙ্গে গল্পের ছলে দেবী নিজেই শোনাবেন তার নানা আখ্যান। এর মধ্যে আছে, চণ্ডিকা, জগদ্ধাত্রী, গন্ধেশ্বরী, জয়দুর্গা, কুষ্মান্ডা, স্কন্ধমাতা, কামাখ্যা ও মহিষাসুরমর্দিনীর গল্প। আসলে পুরাণের কাহিনি দিয়েই শুরু ‘সিংহবাহিনী’-র কাহিনি। দেবী পার্বতী যখন দেবাদিদেবের দর্শনের আশায় ধ্যান মগ্ন ছিলেন তখন পশুরাজ শিকার খুঁজতে গিয়ে তাঁকে দেখতে পান। কিন্তু তপস্যারত কাউকে ভক্ষণ করা উচিত নয় বলে অপেক্ষা করতে শুরু করেন। বছরের পর বছর যায়, দেবীর তপস্যা ভঙ্গ হয় না। আর এ থেকেই চৈতন্যের উদয় হয় পশুরাজের। দেবীর সিদ্ধিলাভের পর স্ব-ইচ্ছেয় তার বাহন হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। এবং এরপর থেকেই কখনও বাহন রূপে কখনও রক্ষাকারী রূপে দেবীর সঙ্গী হন তিনি।
আরও পড়ুন-নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ চঞ্চল নন্দী হাইকোর্টে হার, আদালতে পুলিশি তদন্তের অনুমতি
মহিষাসুরমর্দিনী রূপে এবার এই চ্যানেলের মুখ অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। এছাড়া দেবী পার্বতীর ভূমিকায় দেখা যাবে অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্যকে। দেবী চণ্ডিকা হয়েছেন পিলু থেকে রঞ্জা। জগদ্ধাত্রী হয়েছেন, হংসিনী। মহালক্ষ্মী হয়েছেন, ‘খেলনাবাড়ি’ ধারাবাহিকের মিতুল। মহাকালীর ভূমিকায় ‘উড়ন তুবড়ি’র তুবড়ি, দেবী জয়দুর্গার দুই রূপে দেখা যাবে মিঠাই’কে। এছাড়াও বাকি ধারাবাহিকগুলি থেকে অনামিকা, উমা, গৌরী’র মতো প্রধান চরিত্রগুলিকে দেখা যাবে ‘সিংহবাহিনী’তে দেবীর নানা রূপে। ‘সিংহবাহিনী ত্রিনয়নী’ দেখানো হবে ভোর পাঁচটায়।
সোনি আট
সোনি আট চ্যানেলের এবারের নিবেদন, ‘অসুরনাশিনী মা’। মূলত মহিষাসুর বধের কাহিনিই দেখানো হবে এখানে। দেবী পার্বতী কাত্যায়নী রূপ ধারণ করে বধ করেছিলেন মহিষাসুরকে। কাত্যায়নীর আবির্ভাব থেকে মহিষাসুরের বিনাশ, মহালয়ার ভোর শুরু হবে এই অনুষ্ঠান দিয়ে। দেখানো হবে ভোর পাঁচটায়। তবে এরপরও নানা অনুষ্ঠান চলবে সারা দিন ধরে। সাড়ে সাতটায় প্রচারিত হবে একটি অ্যানিমেশন শো, ‘অথ সতী পার্বতী কথা’। গল্পাকারে যা বলবেন দেবর্ষি নারদ। সাড়ে আটটায় দেখানো হবে আরও একটি অ্যানিমেশন অনুষ্ঠান, ‘শক্তিরূপিণী দুর্গা।’ এখানে রামচন্দ্রের অকাল বোধনের কাহিনি দেখা যাবে।
আরও পড়ুন-এবার লোডশেডিংমুক্ত দুর্ঘটনাহীন দুর্গাপুজো
ডিডি বাংলা
কলকাতা দূরদর্শনের মহালয়ার প্রভাতী অনুষ্ঠান, ‘দুর্গা দুর্গতিনাশিনী’। যদিও এটি এ বছরের নতুন অনুষ্ঠান নয়। গত বছরের মহালয়ার অনুষ্ঠানটিই পুনঃসম্প্রচারিত হবে। দেবী দুর্গা ও মহিষাসুরের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, দুই বিশিষ্ট ভরতনাট্যম শিল্পী মধুশ্রী ঘোষাল ও কৌশিক চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানটির নৃত্যাংশের কোরিওগ্রাফি কৌশিকের। আর নাট্যাংশের পরিচালক সনৎকুমার মহান্ত। চিত্রনাট্য হীরেন চট্টোপাধ্যায়, ভাষ্যপাঠ, অজয় ভট্টাচার্য, সুর কল্যাণ সেন বরাট এবং ইন্দ্রজিৎ দেব। অনুষ্ঠানটির প্রযোজনা করেছেন নন্দিনী চট্টোপাধ্যায়। ‘দুর্গা দুর্গতিনাশিনী’ দেখানো হবে, ভোর পাঁচটা তিরিশ মিনিটে।
আকাশ আট
আগের বছরের মতো এবারও মহালয়ার আগের রাত থেকেই অনুষ্ঠান শুরু হবে আকাশ আট চ্যানেলে। সারা রাতব্যাপী লাইভ সংগীতানুষ্ঠান প্রচারিত হবে। অনুষ্ঠানের নাম, ‘রাত পোহাল শারদ প্রাতে’। শুরু হবে ২৪ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ন’টায়। চলবে ২৫ সেপ্টেম্বর সকাল সাতটা অবধি। অনুষ্ঠানের শিল্পীরা হলেন লক্ষ্মণ দাস বাউল, উজ্জয়িনী, অন্বেষা, ঋক, সুজয় ভৌমিক, গৌরব প্রমুখ।
আরও পড়ুন-ডিসেম্বরে টেট পরীক্ষা, চূড়ান্ত তালিকা নভেম্বরে
কালারস বাংলা
কালারস বাংলা চ্যানেলের এবারের মহালয়ার অনুষ্ঠান ‘দেবী দশমহাবিদ্যা’। মা দুর্গার ভূমিকায় এবার প্রথম অভিনয় করবেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তবে বাকি চরিত্রগুলিতে রূপদান করেছেন ধারাবাহিকের প্রধান চরিত্ররা। রিমঝিম মিত্র, দেবলীনা দত্ত, দোনা ভৌমিক, ঐন্দ্রিলা শর্মা, শ্রুতি দাস, সৈরিতি দাস, তিতিক্ষা দাস, দেবাদৃতা বসু, সংঘমিত্রা তালুকদার। পরিচালনা শুভেন্দু চক্রবর্তী। কোরিওগ্রাফি কাশ্মীরা সামন্ত।