দুলাল সিংহ, বালুরঘাট: বাংলাদেশ থেকে আসা পদ্মফুলে পূজিত হন দেবী দুর্গা। ভোগ নিবেদন করা হয় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের দেওয়া ফল ও দুধ দিয়ে। দুই বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নজির দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি-র উচা গোবিন্দপুরের শারদোৎসব। একদিকে বিএসএফ জওয়ানদের টহল, অন্যদিকে বাংলাদেশের বিজিবি জওয়ানরা। মাঝে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতারের ওপারের ভারতীয় ভূখণ্ডে গ্রাম পূর্ব গোবিন্দপুর। ওখানে দুর্গা ১৯৫৫ সাল থেকে পূজিত হন টিনের একচালা মন্দিরে।
আরও পড়ুন-ইডি কি ইকনমির ডেস্ট্রয়ার?
বাংলাদেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের সহযোগিতা-আন্তরিকতায় চলে এই পুজো। পূর্ব গোবিন্দপুর গ্রামে রয়েছে প্রায় ৫৮টি পরিবার। ভারতীয় ভূখণ্ডে অবস্থিত হলেও ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে যাতায়াতে নানা বিধিনিষেধ থাকে। তাতেও পূর্ব গোবিন্দপুর গ্রামের দুর্গাপুজো জমে ওঠে। পুজোর জন্য তৈরি হয় টিনের একচালা মন্দির। গ্রামে বসে মেলা। মন্দিরচত্বর থেকে সীমান্তের পিলারের দূরত্ব মাত্র প্রায় ৫০ মিটার। পূর্ব গোবিন্দপুর গ্রামের পাশে বিরামপুর, কাকরাহাট-সহ বাংলাদেশের একাধিক গ্রাম।
আরও পড়ুন-মহামায়ার মহালয়া
একদা বাংলাদেশ থেকে আনা পদ্মফুলে দেবী পূজিত হতেন। সীমান্তে নিরাপত্তাজনিত কড়াকড়িতে সেসব রীতি অনেকটা ম্নান। তবুও ও দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের দেওয়া ফল ও দুধ দুর্গার ভোগ হিসাবে দেওয়া হয়। পুজো কমিটির সদস্য নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, এই পুজো আমাদের প্রাণের পুজো। এতে দুই বাংলার মানুষ একত্রে শামিল হই।