প্রতিবেদন : অবসান পিতৃপক্ষের। সূচনা দেবীপক্ষের। মহালয়া মানেই তর্পণে স্মরণ পিতৃপুরুষকে। মন্ত্রোচ্চারণে তাঁদের প্রতি হৃদয়ের শ্রদ্ধাঞ্জলি। গঙ্গার দুই তীরের ঘাটগুলিতে তাই ভোর থেকেই উপচে পড়া ভিড়। অমাবস্যার অন্ধকার পেরিয়ে আলোকোজ্জ্বল দেবীপক্ষকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত আমজনতা। মহালগ্ন নিয়ে আসে ‘মহালয়া’ (Mahalaya)। তর্পণের শেষে তাই সূর্যপ্রণাম করে দেবীকে আহ্বান করে বলা হয়— শোক, তাপ, দুঃখ, অমঙ্গল, অন্ধকার কাটিয়ে আলোকে উত্তরণের এগিয়ে নিয়ে চলো দেবী। এই তর্পণের মধ্যে দিয়েই শুরু হয় উৎসব। রবিবার মহালয়ার দিনটি ছিল আরও একটি কারণে ছিল বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। দেবীর চক্ষুদান করা হয় এদিনই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে হাতে চক্ষুদান করলেন চেতলা অগ্রণীর দুর্গাপ্রতিমার। অনেক প্রতিমা আগেই মণ্ডপের উদ্দেশে যাত্রা করলেও প্রথা মেনে এদিন প্রতিমার চক্ষুদান করা হয় কুমোরটুলিতেও। করোনার জেরে গত দু’বছর তর্পণ তেমনভাবে হয়ে ওঠেনি। কিন্তু রবিবার সকাল থেকেই বাবুঘাট সহ গঙ্গার অন্যান্য ঘাটে ব্যাপক ভিড়। ভোরবেলা থেকেই প্রচুর জনসমাগম বাবুঘাট, জগন্নাথঘাট, বাগবাজার ঘাট, দক্ষিণেশ্বরের ঘাট সহ গঙ্গার ঘাটগুলিতে। সতর্ক নজর রেখেছে পুলিশ। দুর্ঘটনা এড়াতে গঙ্গায় টহল দিয়েছে জলপুলিশের লঞ্চও। করোনার বিধিনিষেধের জন্যে বিগত বছরগুলিতে এই পরিমাণ জমায়েত ছিল না বলে জানাচ্ছেন তর্পণের উদ্দেশ্যে আসা সাধারণ মানুষ। এদিকে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই শিলিগুড়ির মহানন্দার লালমোহন ঘাটে তর্পণ (Mahalaya) করতে ভিড় জমিয়েছেন প্রচুর মানুষ।