মৃত্যু-উপত্যকা থেকে ফিরে আসা। ‘দ্য মোস্ট ফেমাস টিনেজার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ খ্যাতির শিরোপা। জাতি সংঘের গ্লোবাল শিক্ষাক্রমের দূত গর্ডন ব্রাউন ‘আই অ্যাম মালালা’ নামে একটি জাতি সংঘের পিটিশন চালু করেন এবং দাবি করা হয় সারা বিশ্বের সকল শিশু ২০১৫ সালের মধ্যে বিদ্যালয়ে যাবে। বিশ্বের নানা প্রান্তের এমনই সব নানাবিধ সম্মান কুড়োতে কুড়োতেই একদিন তাঁর হাতে উঠে এল বিশ্বের সবচেয়ে সম্মাননীয় নোবেল পুরস্কার (Novel Award)। ভারতের সত্যার্থীর সঙ্গে ইউসাফজাই মালালা-র নোবেল পুরস্কার গোটা বিশ্বে এক নতুন নজির সৃষ্টি করেছিল। বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সাম্মানিক নোবেল পুরস্কার হাতে সেই ছবি দেখে সারা বিশ্ব চমকিত, সংবাদে আলোড়িত হয়েছিল। বিশ্বের প্রান্তে-প্রান্তে সংবাদের শিরোনামে সেই কিশোরী। মাত্র ১৭ বছরের এক কন্যার হাতে সেই পুরস্কারের স্মারক গোটা বিশ্বকে শুধু আলোড়িত করেনি এক নতুন বার্তা প্রেরণ করেছিল। কারণ নোবেল পুরস্কার নিয়ে উন্মাদনা, উৎসাহ এবং সারা বিশ্বের কৌতূহল তো আজকের নয়, আলফ্রেড নোবেলের নামাঙ্কিত এই নোবেল পুরস্কার (Novel Award) দেওয়া শুরু হয় সেই ১৯০১ সাল থেকে। সম্মান ও গরিমার মাহাত্ম্যে ১১৪ বছর পরও সেই পুরস্কার আজও সমান গৌরব ও মহান ঐতিহ্য বহন করে চলেছে বিশ্বের দরবারে। পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাশাস্ত্র, অর্থনীতি, সাহিত্য, শান্তি। অর্থনীতির পুরস্কার প্রদান চালু হয় ১৯৬৯ সাল থেকে। এ পর্যন্ত বিশ্বে ৪৪ জন নারী স্ব-স্ব ক্ষেত্রে অবদান রেখে নোবেল পুরস্কার (Novel Award) লাভ করেছেন। যেখানে পুরুষদের প্রাপ্তির সংখ্যা ৮০৭। প্রথম নারী হিসেবে ১৯০৩ সালে মাদাম কুরির পুরস্কার প্রাপ্তি গোটা বিশ্বে নজির হয়ে আছে। পদার্থবিদ্যার পাশাপাশি রসায়নেও তিনি পুরস্কার পেয়েছিলেন ১৯১১ সালে। বিশুদ্ধ রেডিয়াম এবং পোলেনিয়াম আবিষ্কারের জন্য তিনি দুবার পেয়েছিলেন এই নোবেল পুরস্কার। মাদাম কুরি ছাড়াও আরও তিনজন নারী দুবার করে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন তাঁদের অসামান্য অবদান রাখার জন্য। তাঁরা হলেন লিনাস পাউলিং, জন বারডিন, ফ্রেডেরিক স্যাঙ্গার। ২০১৪ সালে নরওয়ের মে ব্রিট মোজের মস্তিষ্কের অবস্থান বোঝার প্রক্রিয়ার রহস্য সমাধানের জন্য পেয়েছিলেন এই নোবেল পুরস্কার। পরবর্তীকালে সুইডেনের আলভা মিরদল, কেনিয়ার ওয়াংগারি মাথাই, নারীর অধিকারের কথা বলার নেত্রী লেহমাই বয়ই, শান্তির দূত হিসাবে ভারতের মাদার টেরিজা, মায়ানমারের আংসাঙ সুকি-সহ বিশ্বের বহু নারী এই মহান পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এক কথায় ১৯০১ থেকে ২০১৫— এই ১১৫ বছরের মধ্যে মাত্র কয়েক বছর নানাবিধ কারণে এই পুরস্কার সাময়িক বন্ধ থাকলেও দীর্ঘ ১১৫ বছরের মধ্যে বিশ্বের নানান প্রান্তের পদার্থ বিজ্ঞানী, রসায়নবিদ, রাজনীতিবিদ, অর্থনীতি লেখক, সাহিত্যিক এই পুরস্কার পেয়ে চলেছেন। কেউ তেজস্ক্রিয়তা আবিষ্কারের জন্য, কেউ ট্রানজিস্টার আবিষ্কারের কারণে, কেউ ইনসুলিনের অণুর গঠন, আবার কেউ-বা ভাইরাসের নিউক্লিওটাইডের ধারা আবিষ্কার করে বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। একশো বছরের বেশি সময় ধরে প্রবর্তিত এই পুরস্কারকে ঘিরে বহু ইতিহাস, নানাবিধ ঘটনা জড়িয়ে রয়েছে। সে-সবের মধ্যে বহু ঘটনা উল্লেখযোগ্য। এখানেই উল্লেখ্য, জর্জ বার্নার্ড শ এমনই এক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব যিনি শুধু নোবেল পুরস্কারেই (Novel Award) ভূষিত হননি, নোবেলের পাশাপাশি অস্কার অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছিলেন। যে ঘটনা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। কে এই আলফ্রেড নোবেল? তাঁর পরিচয় নতুন করে বিস্তারিত দেবার প্রয়োজন নেই। ১৮৩৩ সালের ২১ অক্টোবর সুইডেনের স্টকহলমে জন্ম নেওয়া সাধারণ পরিবারের এই কিশোরই একদিন বিশ্বের অন্যতম হয়ে উঠেছিলেন। পরবর্তী কালে হয়ে উঠেছিলেন বিজ্ঞানী- উদ্ভাবক। বহু চর্চিত এই বিজ্ঞানী এক কথায় একজন রসায়নবিদ, ইঞ্জিনিয়ার এবং উদ্ভাবক। তাঁর জীবনের ৩৫৫টি উদ্ভাবকের মধ্য দিয়ে তিনি সারা জীবনে প্রভূত অর্থ উপার্জন করেছিলেন। ইস্পাত কারখানার মালিক থেকে ব্যালিস্টিক উদ্ভাবক। যা ছিল ধোঁয়াবিহীন সামরিক বিস্ফোরক প্রভৃতি ছাড়িয়ে তাঁর সর্বাধিক পরিচিতি হয়েছিল ডিনামাইট আবিষ্কারক হিসাবে। এই ডিনামাইট আবিষ্কারের হাত ধরেই তাঁর খ্যাতি-অখ্যাতির বিপুল পরিচিতি। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন যে-মানুষ এমন ধ্বংসাত্মক সৃষ্টি করেন, তাঁর নামানুসারেই এমন পুরস্কার? আসলে তিনি তাঁর জীবনের উপান্তে এসে তৈরি করেছিলেন সেই ঐতিহাসিক উইল যা ইতিহাস হয়ে আছে মানবকল্যাণের হিত সাধনে যাঁরা নজিরবিহীন কাজ করবেন তাঁদের প্রদেয় পুরস্কারের মধ্য দিয়ে। তাঁর উপার্জিত অর্থেই তাঁর নামানুসারে বহন করে চলেছে এই পুরস্কার। প্রতি বছর অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে এই পুরস্কারের কথা ঘোষিত হয়। এ-বছরও সদ্য ঘোষিত হয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নোবেল প্রাপকদের নাম। সাহিত্যে নোবেল পেলেন রুশ সাহিত্যিক শ্বেতলানা অ্যালেক্সিভিচ। এ পর্যন্ত সাহিত্যে চতুর্দশ নারী হিসেবে পুরস্কার পেলেন তিনি। তাঁর অন্যতম পরিচয় তিনি পেশায় সাংবাদিক।
সাহিত্য ব্যতিরেকে চিকিত্সাবিজ্ঞানে, পদার্থবিদ্যা, রসায়নবিদ্যা থেকে সব বিষয়েরই পুরস্কার ঘোষিত
হয়ে গেছে। যদিও শান্তি পুরস্কার ঘোষিত হওয়ার অব্যবহিত পরেই তুরস্কে রক্তে পথ ভিজে যাওয়ার
মতো ঘটনাও ঘটে গিয়েছে। নানা ঘটনা-উপঘটনায় মোড়া বিশ্বের বহু আলোচিত এই নোবেল পুরস্কার। নোবেল পুরস্কার নিয়ে বিতর্ক হইচই সমালোচনাও কম হয়নি সময়ে-সময়ে। রাষ্ট্রপতি পদে বসার ১১ দিনের মাথায় বসে শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার (Novel Award) পেয়ে বারাক ওবামা তো স্বয়ং বলেই ফেলেছিলেন এ পুরস্কার পাবার যোগ্য আমি নই। নোবেল বিজয় নিয়ে আরও অনেক বিতর্কিত কাহিনি আছে। হেনরি কিসিঞ্জার-সহ আরও অনেক ব্যক্তিত্বকে ঘিরে। সে-সব বিস্তৃত ইতিহাস। আজ থেকে একশো বছর আগে ১৯১৫ সালে এক অভাবনীয় চমকপ্রদ ঘটনা ঘটেছিল নোবেল পুরস্কারের ইতিহাসে। বাবার সঙ্গে সেদিন নোবেল পুরস্কার হাতে তুলে নিয়েছিল এক পঁচিশ বছরের যুবক। বিশ্বের ইতিহাসে এ-পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে কমবয়সি নোবেল প্রাপক, অবশ্যই বয়সের দিক দিয়ে মালালার পরে। তাঁর নাম স্যার উইলিয়াম লরেন্স ব্রাগ। অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ পদার্থবিজ্ঞানী। জন্ম ৩১ মার্চ ১৮৯০। যিনি ১৯১৫ সালে পিতা উইলিয়াম হেনরি ব্রাগ-এর সঙ্গে যৌথভাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেছিলেন। ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব ম্যানচেস্টারে গবেষণা, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ বছর গবেষণা করেছিলেন এই বিজ্ঞানী। কেমব্রিজের ক্যাভেন্ডিশ ল্যাবরেটরিতে যখন জেমস ওয়াটসন এবং ফ্রান্সিস ক্রিক ডিএনএ নিয়ে গভীর গবেষণায় নিযুক্ত তখন তাঁদের পার্শ্বচর হিসেবে কাজ করেছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত লরেন্স ব্রাগ। ১৯৪১ সালে পেয়েছিলেন নাইট উপাধি।
আরও পড়ুন-প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি, আবেগঘন বার্তা ঝুলনের
তেমনই এক কনিষ্ঠতম নোবেল প্রাপক হলেন ভের্নার কার্ল হাইজেনবার্গ। ৩১ বছর বয়সে পেয়েছিলেন নোবেল পুরস্কার। জার্মানির এই বিজ্ঞানীর জন্ম ১৯০১ সালে ৫ ডিসেম্বর। জার্মানির এই পদার্থবিজ্ঞানী কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞান উদ্ভাবন করেন। ১৯২৫ সালে ম্যাক্স বর্ন ও পাসকল জর্ডনের সঙ্গে মিলে হাইজেনবার্গ কোয়ান্টাম বলবিদ্যার ম্যাট্রিক্স-ভিত্তিক ব্যাখ্যা প্রদান করেন। কোয়ান্টাম বলবিদ্যার আবিষ্কারক হিসাবে এবং তার ব্যবহারিক প্রয়োগ হিসাবে হাইড্রোজনের বহুরূপতা আবিষ্কারে অবদান রাখার জন্য ১৯৩২ সালে এই জার্মান বিজ্ঞানীকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। ১৯২৪ সালে তিনি বিজ্ঞানী নীলস বোর-এর সঙ্গে কোয়ান্টাম বিদ্যার ওপর কাজ শুরু করেছিলেন যার শেষ ১৯২৬ সালে বলবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।
হাইজেনবার্গেরই বয়সি ছিলেন পল ডিরাক। পুরো নাম পল অ্যাড্রিয়েন মরিস ডিরাক। ৩১ বছর বয়সি পল ডিরাকের জন্ম ১৯০২ সালের ৮ অগাস্ট। এই ব্রিটিশ পদার্থ বিজ্ঞানী যিনি কোয়ান্টাম তড়িত গতি বিজ্ঞানের এবং কোয়ান্টাম পদার্থ বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। ১৯৩২ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৩৭ বছর কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিতের অধ্যাপক ছিলেন। তাঁর আবিষ্কারের একটি হল ডিরাক সমীকরণ। এই সমীকরণের সাহায্যেই ডিরাক পদার্থের অস্তিত্ব সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। ১৯৩৩ সালে ডিরাক এরউইন শ্রোয়েডিঙ্গারের সঙ্গে একত্রে পারমাণবিক তত্ত্বের অভিনব আবিষ্কারের জন্য পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছিলেন। শুধু নোবেল পুরস্কারই নয়, এ ছাড়াও রয়্যাল সোসাইটির রয়্যাল মেডেল, ১৯৫২ সালে কোপলে মেডেল, সে বছরই ম্যাক্স প্লাঙ্ক পুরস্কার পান। নোবেলজয়ী এই বিজ্ঞানীর মৃত্যুর পরে যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট অব ফিজিক্স তাঁর স্মরণে ডিরাক মেডেল প্রবর্তন করে। ইতালির অবদুস সালাম ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর থিয়োরিটিক্যাল ফিজিক্স তাঁর স্মরণে ডিরাক প্রাইজ প্রবর্তন করে। জীবনের শেষ ১৪ বছর পল ডিরাক ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছিলেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফেলো নির্বাচিত হয়েছিলেন।
৩১ বছর বয়সে নোবল পুরস্কার পেয়েছিলেন আরেক পদার্থ বিজ্ঞানী কার্ল অ্যান্ডারসন। পুরো নাম কার্ল ডেভিড অ্যান্ডারসন। পজিট্রন আবিষ্কারের জন্য সবচেয়ে খ্যাত হয়ে আছেন নোবেলজয়ী এই বিজ্ঞানী। ১৯৩৭ সালে বিজ্ঞানী ভিক্টর ফ্রানত্স হেস-এর সঙ্গে যৌথভাবে পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছিলেন। এই পদার্থ বিজ্ঞানী বিশ্বযুদ্ধের সময়ে রকেট বিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণা করেও সুনাম কুড়িয়ে ছিলেন। কার্ল অ্যান্ডারসন তাঁর কর্মজীবনের পুরোটাই ক্যালটেকে কাটিয়েছেন।
অন্য আর এক কমবয়সি নোবেল পদার্থ বিজ্ঞানী ডোলান্ড আর্থার গ্লেজার। ১৯২৬ সালে ২৯ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেছিলেন। মার্কিন এই পদার্থবিজ্ঞানী একজন স্নায়ু জীববিজ্ঞানীও। ১৯৬০ সালে তিনি পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। বাবল চেম্বার উদ্ভাবনের জন্য তিনি এই নোবেল পেয়েছিলেন। গ্লেজারের জন্ম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লিভল্যান্ডে। ১৯৪৬ সালে কেস ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে পদার্থবিজ্ঞানে এবং গণিতে স্নাতক হন। তাঁর দীর্ঘ অধ্যাপনা জীবনে জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক উপাধি অর্জন করেছিলেন। এই কমবয়সি নোবেল প্রাপকদের দলে ছিলেন জেমস ওয়াটসন, মারি কুরির মতো নোবলজয়ীরাও। যাঁরা বিজ্ঞানের নানান ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন। সেই দলে ছিলেন ব্রিটিশ ভারতে জন্মগ্রহণকারী মার্কিন জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী সুব্রহ্মণ্যন চন্দ্রশেখর। তামিল পরিবারে জন্ম নেওয়া এই বিজ্ঞানীর পুরো নাম সুব্রহ্মণ্যন চন্দ্রশেখর আয়ার। ১৯৮৩ সালে তারার বিবর্তন এবং তারাদের জীবনচক্র সম্বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের জন্য উইলিয়াম আলফ্রেড ফাউলারের সঙ্গে যৌথভাবে পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। তারার বিবর্তন বিষয়ে তাঁর আবিষ্কৃত বিষয়টির নাম চন্দ্রশেখর সীমা। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই নোবেল জয়ের মতো স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। যদিও তাঁর কাজের পূর্ণ স্বীকৃতি মিলেছিল ১৯৮৩ সালে, আলফ্রেড ফাউলারের সঙ্গে। ছাত্র বয়সে চন্দ্রশেখর এমনই উত্সাহী ছিলেন যে তারাদের বিবর্তনের হদিশ পেতে চন্দ্রশেখর সমুদ্রযাত্রা করেছিলেন ভারত থেকে ব্রিটেন পর্যন্ত। যখন তিনি পিএইচডি করছেন। আমরা অনেকেই হয়তো জানি না চন্দ্রশেখরের কাকা পদার্থ বিজ্ঞানী সি ভি রমনও ছিলেন একজন নোবেলজয়ী। যিনি ৪২ বছর বয়সে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন।