শুক্রবার ঠিক দুপুর ১.৫৮ মিনিটে সার্ভে বিল্ডিংয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগেই পৌঁছে গিয়েছিলেন সুব্রত বক্সি এবং চিফ ইলেকশন এজেন্ট বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন প্রযোজক নিসপাল সিং রানে এবং মন্ত্রী ববি হাকিমের স্ত্রী ইসমত হাকিম। সার্ভে বিল্ডংয়ে ২টো ৩ মিনিটে প্রার্থিত কাগজ তৈরি হয়ে যায়। এরপর ২টো ১৭ মিনিট নাগাদ সার্ভে বিল্ডিং থেকে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী।
এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফেসবুকে তাঁর ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করে লেখেন, “মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক,
আমি তোমাদেরই লোক”
ভবানীপুরের মানুষের সাথে আমার নাড়ির বন্ধন অচ্ছেদ্য গ্রন্থিতে আবদ্ধ। বাম শাসনে স্বৈরাচারী শাসকের রক্তচক্ষুর পরোয়া না করে তাঁরা আমার সাথে বারংবার প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। তাঁদের সবাইকে আমি নত মস্তকে প্রণাম জানাই। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের একের পর এক জনবিরোধী নীতি, কোভিড মোকাবিলায় চূড়ান্ত ব্যর্থতা, টিকানীতি নিয়ে মিথ্যাচার – এই রাজ্য তথা সমগ্র দেশবাসীকে এক ভয়ানক সংকটের সামনে এনে ফেলেছে। বিভিন্ন সময় বিজেপির নির্মম অত্যাচারের শিকার হয়েছে কৃষক থেকে শ্রমিক, নারী থেকে দলিত। বাংলার মনীষীদের নাম বিকৃত করা বা তাঁদের সম্বন্ধে ভুল তথ্য পরিবেশন – বিগত বিধানসভা নির্বাচনের সময় বিজেপি নেতারা বাংলাকে নিরন্তর অপমান করে গেছেন। টিকা প্রদানে বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সাহায্যের প্রশ্নেও কেন্দ্রীয় সরকারের বাংলার প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণ কারুর দৃষ্টি এড়ায়নি। তাই আরও একবার ধর্মীয় উগ্রপন্থার পৃষ্ঠপোষকদের পরাজিত করে বাংলায় শান্তি, সম্প্রীতির বাতাবরণ অক্ষুণ্ণ রাখার লক্ষ্যে আমি মরণপণ সংগ্রামের জন্যে প্রস্তুত। ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে আসন্ন উপনির্বাচনের জন্য মানুষের আশীর্বাদ ও দোয়াকে পাথেয় করে আলিপুর সার্ভে বিল্ডিং-এ আজ মনোনয়ন পত্র জমা দিলাম।”