তনুশ্রী চট্টোপাধ্যায়, সিঙ্গাপুর: বাংলার পুজোর মতো চাকচিক্য নেই। তবে আচার আছে। নিয়ম আছে। বিদেশে বেশিরভাগই ছুটির দিন পুজো হয়। কিন্তু সিঙ্গাপুরে পুজো হয় একেবারে নিয়ম তিথি মেনেই। সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী, দশমী এখানেও চারদিন পুজো। অষ্টমীর সন্ধিপুজো, আরতি, সিঁদুরখেলা। কাঁসর, ঘণ্টা, ঢাকের বাদ্যি আর ভোগের খিচুড়ি। দশমীতে বিসর্জন। সব মিলিয়ে যেন একটুকরো বাংলা উঠে আসে প্রবাসে। পুজোর ফল কাটা, ভোগ রান্না, আলপনা এই কাজগুলো আমরা নিজেদের মধ্যেই ভাগ করে নিই।
আরও পড়ুন-সন্তান আগলে রাখা মা পুজোর থিম
কলকাতার কসবার বাড়ি ছেড়ে কর্মসূত্রে ১০ বছর রয়েছি সিঙ্গাপুরে। কলকাতার পুজোর জন্য মন খারাপ হয়। পরিবার, পরিজন, পুরনো বন্ধুদের মিস করি। কিন্তু প্রবাসে থেকেও পুজোর আনন্দ এতটুকু কম হয় না। বেশ কয়েকটি অ্যাসোসিয়েশন দুর্গাপুজোর আয়োজন করে। বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন, বেঙ্গল সোসাইটি অফ সিঙ্গাপুর, বিইউএসএস এবং নতুন একটি অ্যাসোসিয়েশন সিপা। সিঙ্গাপুরের পুজোর বিশেষত্ব হল এখানে দুই বাংলা মিলে পুজো করে। আমাদের প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশের দাদা, বন্ধু, ভাই-বোনেরা এক হয়ে যায় নানান অনুষ্ঠানে। পুজো অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আমাদের রঞ্জিতদা। সমস্ত বিষয়ে আমাদের এগিয়ে দেন। পাড়ার পুজোয় মণ্ডপে প্রতিমা এলেই যেমন আনন্দ হয় একইভাবে এখানেও আমরা প্রতিমা বরণ করি। প্রতিবছর কলকাতা থেকে আসে প্রতিমা। পুজো শেষে বিসর্জনের পালা। নৌকা ভাড়া করে সাউথ চায়না সি-তে হয় বিসর্জন। অপেক্ষায় থাকি আগামী বছরের।