প্রতিবেদন : আগামী ১১ থেকে ২২ অক্টোবর রাজ্য জুড়ে বিজয়া সম্মিলনী পালন করবে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের প্রতিটি জেলার সব ব্লকে অন্তত একটি করে সভা হবে। এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়েছে ৫০০-র বেশি সভা হবে গোটা রাজ্য জুড়ে। ইতিমধ্যেই দলীয় নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজয়া সম্মিলনীর আবহে এই সভায় কোন বিষয়গুলিকে তুলে ধরতে হবে সেই সংক্রান্ত গাইডলাইনও দিয়েছেন অভিষেক।
আরও পড়ুন-শিক্ষক নিয়োগে তৈরি দুই প্রস্তাবই কোর্টে পেশ
পুজোর পর বিজয়া সম্মিলনীতে স্বাভাবিক ভাবেই মিষ্টিমুখের ব্যবস্থা থাকবে। বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি সভায় বাংলার উন্নয়ন, কেন্দ্রের অবিচার, অন্য রাজ্যের তুলনায় বাংলায় উচ্চ মানের জীবন-যাপন, কেন্দ্রের আর্থিক বৈষম্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার কর্মসংস্থানের সদিচ্ছা দেখিয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা সমাধানের ফরমুলা— এসবই উঠে আসবে সভার বক্তৃতায়। বক্তা হিসেবে কাদের রাখতে হবে সেই নির্দেশিকাও দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেখানে বলা হয়েছে, ব্লক নেতৃত্ব তো বটেই, জেলা নেতৃত্ব, এমনকী রাজ্যের নেতা-নেত্রীরাও যাবেন বক্তৃতা দিতে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই সভাগুলি একপ্রকার মহড়ার কাজ করবে।
আরও পড়ুন-ধর্ষণ ও দেহব্যবসায় নামিয়ে যাবজ্জীবন বিজেপি নেতার
উৎসবের মরশুমে রাজ্যের মানুষের সঙ্গে আরও বেশি করে জনসংযোগের নির্দেশ দিয়েছেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের সব বিধায়ককে তাঁদের নিজেদের বিধানসভা কেন্দ্রেই থাকতে বলা হয়েছে। বিশেষ কোনও কারণ ছাড়া তাঁরা যেন এলাকা না ছাড়েন তাও জানিয়ে দিয়েছেন দলনেত্রী। এলাকা ছাড়তে হলে দলের অনুমতি নিতে হবে। এলাকার সব পুজো মণ্ডপ পরিদর্শনে যেতে হবে৷ ছোট-বড় সব পুজোয় যেতে হবে৷ উদ্বোধনে উপস্থিত থাকতে হবে। এবার পুজো শেষে আয়োজন করতে হবে বিজয়া সম্মিলনী সভার।