প্রতিবেদন : পুজো উদ্বোধন করতে গিয়ে মঙ্গলবার আবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিবিজড়িত একডালিয়া এভারগ্রিনের পুজোর উদ্বোধন করতে গিয়ে জননেত্রী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর বাড়াবাড়ি মেনে নিতে পারছিলেন না সুব্রতদা। আমাকে বলেছিলেন, আর মানা যাচ্ছে না। আমাকে দুটো গুলি এনে দে। একটা গুলিতে নিজেকে মারব, অন্য গুলিটা তাদের জন্য যারা আমাদের অপমান করেছে।
আরও পড়ুন-১১ থেকে ২২ অক্টোবর রাজ্যজুড়ে ৫০০ সভায় তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী
জননেত্রীর মন্তব্য, শুধু সুব্রতদা নন, আরও অনেককে অপমান করেছে, এখনও অপমান করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলো। মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি অভিযোগ করেন, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী কেন্দ্রীয় এজেন্সি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিতে রীতিমতো ভারাক্রান্ত হয়ে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেত্রীর কথায়, যে মানুষটা পুজো নিয়ে বেঁচে থাকতেন, যে পুজো ছিল তাঁর প্রাণ, সেই মানুষটাই আজ নেই। পুজো নিয়ে অন্তত একমাস ঝগড়া করতেন আমার সঙ্গে। বলতেন, তুই কবে ডেট দিবি? আগে আমার ডেটটা কনফার্ম কর। এত আন্তরিকতা ভাবা যায় না। তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শুরুর কথা মনে করিয়ে দিয়ে নেত্রী জানালেন, ছোটবেলায় পলিটিক্সটা সুব্রতদার হাত দিয়ে করেছি। সকাল ৮টায় চলে আসতাম। তারপরে ঠিক হত, কোথায় যাব, কোথায় মিছিল হবে। উপস্থিত সুব্রতজায়া ছন্দবাণী মুখোপাধ্যায়ের দিকে তাকিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বউদি সুব্রতদাকে খুব যত্ন করতেন। আজ তাঁকে খুব মিস করছি। একডালিয়ার পুজো প্রয়াত তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের পুজো বলেই পরিচিত। এবার পুজো কমিটির সভাপতি হয়েছেন প্রয়াত নেতার স্ত্রী ছন্দবাণী মুখোপাধ্যায়। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের একটি অস্থায়ী মূর্তি এদিন প্রতিষ্ঠা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ৩ মাসের মধ্যে পার্কে বসবে তাঁর স্থায়ী মূর্তি।
আরও পড়ুন-শিক্ষক নিয়োগে তৈরি দুই প্রস্তাবই কোর্টে পেশ
এদিন একডালিয়া এভারগ্রিন ছাড়াও কলকাতার মোট ১৬টি পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলার বহু পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধনও সারেন তিনি। ত্রিধারা সম্মিলনীর পুজো মণ্ডপ থেকে তিনি জেলার কমবেশি প্রায় ৪০০টি পুজোর উদ্বোধন করেন। বললেন, এ এক দৃষ্টান্তমূলক প্রয়াস। দূরত্বকে হার মানিয়েছে হৃদয়ের সম্পর্ক। উপস্হিত ছিলেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের অধিকর্তা প্রমুখ। মূল উদ্যোক্তা বিধায়ক দেবাশিস কুমারের উপস্থিতিতে গান গাইলেন ২ মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং ইন্দ্রনীল সেন। এখানেও মুখ্যমন্ত্রী এক হাত নেন বিজেপি ও সিপিএমকে। নোংরা রাজনীতির তীব্র সমালোচনা করেন। তাঁর মন্তব্য, মাথার ওপর এজেন্সির ছাতাটা ফুটো হয়ে গেলেই বুঝতে পারবে ওরা।