“মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক, আমি তোমাদেরই লোক”,. মনোনয়ন জমা দিয়ে লিখলেন দলনেত্রী

Must read

প্রতিবেদন : পূর্ব ঘোষণা মতো গণেশ চতুর্থীর শুভ দিনেই মনোনয়ন জমা দিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লক্ষ্য রেকর্ড ভোটে নেত্রীকে জেতানো। সেই লক্ষ্যে নেত্রীর মনোনয়ন ঘিরে উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। সেই সব সদস্য সর্থকদের আবেগে ভেসে শুক্রবার ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পেশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সবাইকে কোভিড সতর্কতা মেনে বেশি জমায়েত করতে বারণ করেন।

এদিন দুপুর দেড়টার পর কালীঘাটের বাড়ি থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সোজা চলে আসেন আলিপুর সার্ভে বিল্ডিংয়ে। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মনোনয়ন জমা করেন। মনোনয়ন জমা দিয়ে বেরিয়ে তাঁর অপেক্ষায় থাকা তামাম সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও কথা না বললেও ভবানীপুর নিয়ে সামাজিক মাধ্যামে তাঁর আবেগ চেপে রাখননি। সেখানে তিনি লিখেছেন, “মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক, আমি তোমাদেরই লোক।” ভবানীপুরের মানুষ আজীবন যেভাবে তাঁর পাশে থেকেছেন তার জন্য ভবানীপুরবাসীর প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন।

আরও পড়ুন : ভোটের আগেই হার স্বীকার কংগ্রেসের, প্রচারে যাবেন না অধীর

মনোনয়ন পেশ করে মুখ্যমন্ত্রী আলিপুর থেকে বালিগঞ্জের মহারাষ্ট্র নিবাসে যান একটি গণেশ পুজোর উদ্বোধনে। মনোনয়ন জমার পর মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “ভবানীপুর কেন্দ্র নেত্রীর বাড়ির উঠোনের মতো। মানুষের আশীর্বাদ ঝরে পড়বে মুখ্যমন্ত্রীর উপর। অন্য কে এখানে প্রার্থী হল কে এখানে প্রচারে এল তাতে কিছু যায় আসে না।”

আরও পড়ুন : ফের বিস্ফোরক রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী 

শুক্রবার সকাল থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর মনোনয়ন ঘিরে সদস্য, সমর্থক, নেতৃত্বের মধ্যে ছিল উৎসাহ উদ্দীপনা।সরকারি স্তরে প্রস্তুতি ছিল সারা। ঠিক দুপুর ১.৫৮ মিনিটে সার্ভে বিল্ডিংয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। আগেই পৌঁছে গিয়েছিলেন সুব্রত বক্সি এবং চিফ ইলেকশন এজেন্ট বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন প্রযোজক নিসপাল সিং রানে এবং মন্ত্রী ববি হাকিমের স্ত্রী ইসমত হাকিম। সার্ভে বিল্ডংয়ের একের পর এক ঘর পেরিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিল কর্মীদের অভিনন্দন, প্রণাম। ২টো ৩ মিনিটে প্রার্থিত কাগজ তৈরি হয়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রী অফিসারদের বলেন, আপনারা একটু দেখে নিন। আমি এগুলো আবার বুঝি না। পরিচয় করিয়ে দেন তাঁর প্রার্থী পদের দুই প্রস্তাবক নিসপাল ও ইসমতের সঙ্গে। পরে বাবলু সিংও আসেন। বাড়ি থেকে নিয়ে আসা নিজের কলমেই স্বাক্ষর করেন। ২টো ১৭ মিনিট নাগাদ সার্ভে বিল্ডিং থেকে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী।

 

 

Latest article