প্রতিবেদন : মাঝেমধ্যেই মুখভার আকাশের। মেঘ-রোদ্দুরের লুকোচুরি। পাল্লা দিয়ে সারাদিনই ভ্যাপসা গরমও। কিন্তু তাই বলে মুখভার করে ঘরে বসে নেই বঙ্গবাসী। চুটিয়ে উপভোগ করেছে ষষ্ঠীর সকাল-দুপুর-সন্ধ্যা। রাত পোহালেই মহাসপ্তমীকে স্বাগত জানাতেও প্রস্তুতি নিয়েছেন সব্বাই। শনিবার মায়ের বোধনের পরে আজ মহাসপ্তমী। গঙ্গা এবং বাংলার অন্যান্য নদনদীর ঘাটে ঘাটে, জলাশয়ে কলাবউ স্নানের পালা। বাড়ির পুজো কিংবা বারোয়ারি, তিথি মেনে ভোরের আলো ফোটার আগেই কলাবউকে ঘিরে বেজে উঠবে ঢাক।
আরও পড়ুন –ছোট্ট ‘উমা’ অমাত্রার হাতে মশা বধ
তারপরেই স্নানের ঘাট অভিমুখে যাত্রা। ফিরে এসে শুরু মন্ত্রোচ্চারণে দেবীর মূল আরাধনা। পাহাড় থেকে সমুদ্র, শহর থেকে গ্রাম— একই ছবি। যমজনগরী কলকাতা-হাওড়ার প্রতিটি ঘাটেই তাই শনিবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে নজরদারি। রবিবার গঙ্গায় নবপত্রিকা স্নানের সময় যে কোনওরকম দুর্ঘটনা এড়াতে প্রস্তুত জলপুলিশের লঞ্চও। শরতের অরুণ আলোর অঞ্জলি শুরু হয়ে গিয়েছে শনিবার মহাষষ্ঠীর সকাল থেকেই। এবারে পাহাড়ে দুর্গাপুজোকে ঘিরে উন্মাদনা লক্ষ্য করার মতো। দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পং— সব অঞ্চলেই নেমেছে আনন্দের ঢল। পর্যটকদের সঙ্গে খুশি ভাগ করে নিচ্ছেন স্থানীয় মানুষ। হোটেলে গিয়ে পর্যটকদের আমন্ত্রণ জানিয়ে আসছেন পুজোর উদ্যোক্তারা।
আরও পড়ুন –পঞ্চায়েত দফতরের উদ্যোগে দুয়ারে মহাভোজ
একই আবহ ডুয়ার্সেও। মেতে উঠেছে জঙ্গলমহলও। ঝাড়গ্রামের অদূরে ঐতিহাসিক কণকদুর্গা মন্দিরে মহাধুমধামে দুর্গাপুজো চলছে নিজস্ব রীতি মেনে। কলকাতা মহানগরীতে ষষ্ঠীতে যত মানুষ পথে নেমে পড়েছেন, স্মরণকালে তা হয়েছে কি না সন্দেহ। দক্ষিণের সুরুচি সংঘ, চেতলা অগ্রণী কিংবা উত্তরের চালতাবাগান থেকে শুরু করে টালা প্রত্যয়, শুধুই মানুষের মুখভরা হাসি। ভিড়ের মধ্যে মোটরবাইকের গতি কিছুটা ছন্দপতন ঘটালেও, পুলিশের সময়মতো হুঁশিয়ারিতে সতর্ক হয়ে যান বেপরোয়া চালকরা। রবিবার মহাসপ্তমীতে রাজ্যজুড়ে আরও কড়া হবে পুলিশের নজরদারি।