সংবাদদাতা, হাওড়া : বুধবার সকাল থেকেই হাওড়ার ঘাটে ঘাটে শুরু হয়ে যাবে প্রতিমা বিসর্জন। তার জন্য হাওড়া কর্পোরেশন, সিটি পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি ঘাটেই পরিবেশবান্ধব প্রতিমা নিরঞ্জন করা হবে। ভাসানের কারণে যাতে কোনওরকম গঙ্গাদূষণ না হয় তার জন্য ভাসানের পরই দ্রুত কাঠামো তুলে নেওয়া হবে। এর জন্য এজেন্সির মাধ্যমে অতিরিক্ত লোক নিয়োগ করেছে হাওড়া কর্পোরেশন।
আরও পড়ুন-দূষণ পর্ষদের বিধি মেনে বিসর্জন
বেশ কিছু ঘাটে কাঠামো তোলার জন্য ক্রেন রাখা থাকছে। এরই সঙ্গে পুরকর্মীরা নিজেরাও কাঠামো তুলবেন। কাঠামো ভাসান দেওয়ার জন্য সমস্ত ঘাটে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে জায়গা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ঘাটই হাওড়া কর্পোরেশনের তরফে রং করে ঝাঁ চকচকে করা হয়েছে। কিছু ঘাট মেরামত করে দেওয়া হয়েছে। সব ঘাটে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ঘাটগুলিতে সিসিটিভির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বেলুড়ের জগন্নাথ ঘাটে এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর পল্টু বণিকের উদ্যোগে মঙ্গলবার ৪টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এদিন প্রতিটি ঘাটই পরিদর্শন করেন হাওড়া সিটি পুলিশের পদস্থ কর্তারা।
আরও পড়ুন-বাতাসে আজ বিদায়বেলার ভৈরবী
সুশৃঙ্খলভাবে প্রতিমা নিরঞ্জনের পর সেগুলি দ্রুত তুলে এনে পুরকর্মীরা ঘাটের পাশেই রাখবেন। পরে ভোর ৩টে থেকে সেগুলি আবার গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে ঘাট পরিষ্কার দেবেন এজেন্সির লোকেরা। পুরকর্মীদের সঙ্গে প্রতিটি ঘাটেই স্বাস্থ্য দফতর থেকে একটি করে মেডিক্যাল টিম থাকবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখভালের জন্য প্রতিটি ঘাটেই পুলিশ এবং কোনওরকম দুর্ঘটনা রুখতে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মী মোতায়েন থাকবে। বিজয়া দশমীর দিন থেকে যতদিন ভাসান চলবে ততদিনই প্রতিটি ঘাটেই এই ব্যবস্থা থাকছে।