প্রতিবেদন : বাস্তবের মাটিতে গত সাত মাস ধরে তীব্র লড়াই চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের। এরই মধ্যে নোবেলের মঞ্চ মিলিয়ে দিল যুযুধান এই দুই দেশকে। ২০২২ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে এই দুই দেশের মানবাধিকার রক্ষাকারী সংস্থাকে। একই সঙ্গে বেলারুশের মানবাধিকার কর্মী আলেস বিয়ালিটাস্কিকেও এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সুইডেনের স্টকহোমে নোবেল কমিটির তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-প্রকাশ্যে বেঁধে পেটাল পুলিশই, গুজরাতের ঘটনায় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ তৃণমূলের
নোবেল কমিটির তরফে থেকে শুক্রবার জানানো হয়েছে, চলতি বছরের নোবেল শান্তি সম্মানের জন্য মনোনীত হয়েছেন বেলারুশের বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী অ্যালেস বিয়ালিটাস্কি। সংগঠন হিসেবে নোবেল শান্তি সম্মান দেওয়া হল রাশিয়ার বিশিষ্ট মানবাধিকার সংগঠন মেমোরিয়াল এবং ইউক্রেনের বিশিষ্ট মানবাধিকার সংগঠন সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজকে।
পুরস্কার প্রাপকদের নাম ঘোষণা করতে গিয়ে নোবেল কমিটি জানিয়েছে, রাশিয়ার বিশিষ্ট মানবাধিকার সংগঠন মেমোরিয়াল এবং ইউক্রেনের মানবাধিকার সংগঠন সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজ কয়েক দশক ধরে মানুষের অধিকারের দাবিতে সরব। সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে এই সংগঠনের কর্মীরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের সেই লড়াইকে সম্মান জানায় নোবেল কমিটি।
আরও পড়ুন-তিথিনক্ষত্র মেনে দ্বাদশীতে কঙ্কালীতলায় হল কুমারীপুজো
এই দুই সংগঠন বিশ্বের দরবারে সাধারণ মানুষের কথা তুলে ধরেছে। ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন করার অধিকারকে বারবার সমর্থন করেছে।
নোবেল কমিটি আরও জানিয়েছে, বেলারুশে দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে চলেছেন অ্যালেস বিয়ালিটাস্কি। সেই সঙ্গে দেশের সার্বিক উন্নতির ক্ষেত্রেও তাঁর বিশেষ অবদান রয়েছে। বেলারুশ সরকার সে দেশের বিশিষ্ট এই মানবাধিকার কর্মীর কণ্ঠরোধ রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে তাঁকে কারাবন্দিও করেছে। বিনা বিচারে বছরের পর বছর অ্যালেসকে জেলে আটকে রাখা হয়েছে। তবুও সরকারের এই দমনপীড়নের কাছে নতজানু হতে অস্বীকার করেছেন অ্যালেস। স্থির ছিলেন নিজের সিদ্ধান্তে। তাঁর এই লড়াইকে কুর্নিশ জানায় নোবেল কমিটি। সেই লড়াইকে স্বীকৃতি দিতে এ বছর নোবেল শান্তি সম্মান তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হল।
আরও পড়ুন-বিরাটের রেস্তরাঁর উদ্বোধন আজ, কিশোরকুমারের বাংলো
এবার নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার দৌড়ে ছিলেন অল্ট নিউজের প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক মহম্মদ জুবের এবং ওই ফ্যাক্ট চেকিং ওয়েবসাইটের আর এক প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক প্রতীক সিনহাও। চূড়ান্ত দাবিদারের তালিকাতেও জায়গা করে নিয়েছিলেন জুবের। ভুয়ো খবর রুখে দেওয়া, ভুয়ো তথ্য পরিবেশন বন্ধে সচেষ্ট হওয়া এবং ঘৃণাভাষণের বিরুদ্ধে লড়াই করার পুরস্কার হিসাবে তাঁদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত তাঁরা পুরস্কার পাননি।