প্রতিবেদন : গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করলেন বিজয় রূপানি। পদত্যাগ করলেন, না তাড়ানো হল, সে নিয়ে জোর জল্পনা বিজেপি মহলে। রাজ্য নির্বাচনের ঠিক এক বছর আগে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন রূপানি!
আরও পড়ুন :ট্যুইটে তোপ, কেন্দ্রকে ডেরেকের ৭টি প্রশ্ন
এই পদত্যাগ দুটি বিষয়কে সামনে এনেছে। ১) গুজরাতে রূপানি যে ব্যর্থ তা বিজেপি নিজেই প্রমাণ করে দিয়েছে। ২) বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব এতটাই চরমে যে, কোনও মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতায় বসে মেয়াদ সম্পূর্ণ করতে পারছেন না। সাংবাদিক বৈঠকে রূপানি বলেন, ‘‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্ব বদলায়। এবার দায়িত্ব যাবে অন্য কারও কাছে। তাঁকে দল যে দায়িত্ব দেবে, তা পালন করবেন।” আগামী বছর গুজরাতে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। তবে কি আগাম নির্বাচন? বিজেপি সূত্রে খবর, এখনই নির্বাচন সম্ভবত হচ্ছে না। রূপানির নেতৃত্ব রাজ্যে বিজেপির জনপ্রিয়তা কমিয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে। বিধানসভা ভোটে হারের পূর্বাভাস দেখেই সম্ভবত মুখ পাল্টে মানুষের মন পাল্টানোর চেষ্টা চলছে। পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আরসি ফালড়ু, সি আর পাটিল, নীতিন প্যাটেলের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পুরুষোত্তম রুপৌলা এবং মনসুখ মাণ্ডব্যর নাম জল্পনায়। নরেন্দ্র মোদি এবং আনন্দীবেন প্যাটেলের পরে ফের গুজরাতের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ করতে পারলেন না।
আরও পড়ুন : অভিষেকের পদযাত্রা ঘিরে প্রবল উদ্দীপনা ত্রিপুরায়
নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী হন আনন্দীবেন। ২০১৬-র অগাস্টে তিনি ইস্তফা দেন। তারপর রূপানি। তাঁর নেতৃত্বেই ২০১৭-র বিধানসভা ভোটে জয়। বি এল সন্তোষের উপস্থিতিতে রবিবার বিজেপির পরিষদীয় বৈঠকে নতুন নেতা নির্বাচন হবে।