প্রতিবেদন : মোমিনপুরের একটি অনভিপ্রেত ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি-সহ এ-রাজ্যের বিরোধীরা সাম্প্রদায়িক রং ও উসকানি দিয়ে শকুনের রাজনীতি করছে— এই অভিযোগ করে এর তীব্র বিরোধিতা করল তৃণমূল কংগ্রেস (Mominpur- TMC)। সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ শুভেন্দু অধিকারী, মহঃ সেলিমদের ধুইয়ে দিয়েছেন এই ইস্যুতে।
মোমিনপুরের (Mominpur- TMC) ঘটনায় পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। বিজেপি এখানে বড় বড় কথা না বলে তাদের শাসনে থাকা অন্যান্য রাজ্যে কী কী ঘটনা ঘটে গেছে ও ঘটছে তা নিয়ে কথা বলুক। আর সিপিএমের তো এ-বিষয়ে কথা বলার কোনও অধিকারই নেই। বাম আমলে ডিসি (পোর্ট) খুন হয়েছিলেন। তিলজলা থানার ওসি খুনের কথা মনে করিয়ে দিয়ে তীব্র কটাক্ষ করে কুণাল ঘোষ বলেন, তার আগে বউবাজার বিস্ফোরণ ঘটে গিয়েছে। মহঃ সেলিমরা আগে এর জবাব দিক! একই সঙ্গে কুণালের সংযোজন, বাংলার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে বিজেপি। শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাকে অশান্ত করে তোলার চেষ্টা করছে। পুজো কার্নিভাল-সহ সব কিছুই শান্তিতে মিটেছে। এসব বিজেপির সহ্য হচ্ছে না, তাই যেন তারা যেনতেনপ্রকারেণ বাংলায় আগুন জ্বালাতে চাইছে। বাংলার পুলিশ ত্রিপুরার পুলিশের মতো আচরণ করলে এরা ১০টা লোক নিয়ে রাস্তা আটকে বসতে পারত না। বিজেপি আগে উত্তরপ্রদেশ-সহ ওদের শাসিত রাজ্যগুলির আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি দেখুক, তার পরে বাংলা নিয়ে কথা বলবে।
আরও পড়ুন-অতিমারির পর গরিবির বিস্তার, সব হারিয়ে নিঃস্ব কোটি কোটি
মোমিনপুর এলাকার একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে জনভিত্তিহীন বিজেপি-সিপিএম অরাজকতা তৈরির চেষ্টা করছে। নানা জায়গায় বিজেপি রাস্তাঘাট আটকাচ্ছে। ওদের সঙ্গে লোকজন নেই তবুও এসব করছে। এটা অনভিপ্রেত। তীব্র কটাক্ষ কুণালের। তাঁর সংযোজন, দুর্গোৎসব সফল হয়েছে। সেটা সহ্য করতে পারেনি বিজেপি। ওই এলাকায় যেটুকু হয়েছে তা অনভিপ্রেত। কিন্তু বিজেপি ধর্মীয় বিভাজনের নামে রাজনীতি করছে। অন্ধভাবে তৃণমূলের বিরোধিতা করতে গিয়ে কুৎসা ছড়াচ্ছে বিজেপি-সিপিএম। এত বড় একটা রাজ্য। নির্বিঘ্নে উৎসব হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে জনভিত্তিহীন বিরোধী প্ররোচনা দিচ্ছে। রাজ্য শান্ত। পুজো শান্তিতে মিটেছে। কার্নিভালও সফল। এ তো পাড়ার গন্ডগোল। অবাঞ্ছিত। পুলিশ নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। তৃণমূলের বিরোধিতা করতে গিয়ে এরা বাংলায় অশান্তি তৈরি করার চেষ্টা। অন্য রাজ্য দেখুক। জনভিত্তিহীন। পুলিশ, ক্যামেরার থেকে বিজেপির লোক কম। ট্রেনি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার প্ররোচনা দিতে গিয়েছিল৷ সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ জ্যাম। ওদের সঙ্গে ক’টা লোক দেখেছেন? সুকান্তর সঙ্গে গ্রেফতার ৩। লোক নেই। ক্যামেরা বেশি। পুলিশ-সরকার রয়েছে। পুজো-কার্নিভাল সফল। ওরা সহ্য করতে পারছে না। মানুষ এদের প্ররোচনায় পা দেবেন না। এরা ধর্মের নামে বিভাজন করে মানুষকে সমস্যায় ফেলতে চাইছে। দশটা লোক নিয়ে বড় বড় কথা বলছে। মানুষকে বলছি আপনারাই এর বিচার করুন। উত্তরপ্রদেশ-সহ বিজেপি-শাসিত রাজ্যে যা অবস্থা তাতে তো সেনা নামানো উচিত! কটাক্ষ কুণালের।
সাময়িক যে উত্তেজনা তৈরি হয়, তা কলকাতায় মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে হত। এই উৎসবে সকলে শামিল। অন্য ধর্মের উৎসব চলছে। এটাই বাংলা। ত্রিপুরার বিজেপি পুলিশ যে ধারাপাতে চলে, বাংলার পুলিশ সেই পথ নিলে বিজেপির ওই ক’টা লোকও সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে বসতে পারত না। সাফ কথা কুণালের।