কোচবিহার: এতদিন বিজেপি নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় তৃণমূল কংগ্রেসকেই কাঠগড়ায় তুলছিল। যা বরাবর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকচ করে দিয়েছেন। বিজেপি সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছিল, তদন্ত শুরুও হয়। শেষে ধর্মের কল বাতাসে নড়ল। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী খুনের ঘটনায় অবশেষে সিবিআইয়ের হাতেই গ্রেফতার হয়েছে চার অভিযুক্ত। এরা সকলেই বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত। নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরে ৪ মে সকালে চিলাখানাতে দেহ উদ্ধার হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী শাহিনুর রহমানের। তদন্তে নেমে সিবিআই আধিকারিক এলাকায় যান। এরপর শনিবার রাতে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সকলের বাড়ি চিলাখানার দাসপাড়াতে। এদের মধ্যে দুইজন একই পরিবারের, কাকা-ভাইপো। ভাইপো যুব মোর্চার সক্রিয় কর্মী। বাকি তিনজনও বিজেপি কর্মী বলে দাবি করেছে মৃতের পরিবার। মৃতের ভাই আমিনুর রহমান বলেছেন, যারা তার দাদার খুনে অভিযুক্ত, সকলেই সক্রিয়ভাবে বিজেপি করে। দাদা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী বলেই তাঁকে নৃশংসভাবে খুন হতে হয়েছিল। অভিযুক্তদের কড়া শাস্তি চান তাঁরা। যদিও অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীদের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তাঁরা বিজেপি আগে করতেন। শম্পা দাস বলেন, তাঁর দেওর ও ভাইপোকে সিবিআই গ্রেপ্তার করেছে। তবে তাঁরা খুনের ঘটনায় জড়িত নয়। বিজেপি জেলা সভানেত্রী ও বিধায়ক মালতী রাভার দাবি, বিজেপি কর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে৷ তাঁরা চান, সিবিআই নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করুক৷ আসামীপক্ষের আইনজীবী বিভাস সেন ঈশোর বলেন, চারজনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় তুফানগঞ্জ আদালত। পুলিশ জানায় নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর ৩ মে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন না শাহিনুর। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা মিলে ছিলেন বাজারের কাছে ক্লাবে। রাতে বাড়ি না ফেরাতে পরিবার দুশ্চিন্তায় তাঁকে খুজতে বের হয়। এরপর তাঁরা দেখেন ভুট্টার জমিতে পরে আছে দেহ। পুলিশি তদন্তে প্রমাণ মেলে, হাত-পা বেঁধে মাথার পেছনে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ফের প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল