সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর : রাজ্যের সমস্ত মৎস্যজীবী (Fisherman- West Bengal) এবং মৎস্যসংক্রান্ত বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের তথ্যভাণ্ডার তৈরির বিষয়ে উদ্যোগী হল রাজ্য। ১ নভেম্বর থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হবে পরের পর্যায়ের ‘দুয়ার সরকার’ শিবির। সেখানেই রাজ্যের সমস্ত মৎস্যজীবী তাঁদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। এজন্য রাজ্য জুড়ে প্রতিটি ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে থাকবে এবার আলাদা কাউন্টার। রাজ্যের কৃষকদের জন্য ‘কৃষকবন্ধু’ এবং ‘শস্যবিমা’ প্রকল্প চালু থাকলেও মাছ ধরা এবং বিক্রির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের জন্য এতদিন কোনও বিমা বা আলাদা প্রকল্প ছিল না। দীর্ঘদিন ধরে এই পেশার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা রাজ্য সরকারের কাছে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করে তথ্য ভাণ্ডার তৈরির আবেদন জানান। ২০২১-এর অগাস্টে ফারাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলাম রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানান ‘কৃষকবন্ধু’র অনুরূপ একটি প্রকল্প চালু করা গেলে রাজ্যের কয়েক লক্ষ মৎস্যজীবী উপকৃত হবেন। এরপর বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আসতেই নড়েচড়ে বসে মৎস্য দফতর। মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ফারাক্কা ব্লকে প্রায় কুড়ি হাজার ব্যক্তি মাছ চাষের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িয়ে। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলা-সহ রাজ্যের কয়েক লক্ষ মানুষ এই পেশায় যুক্ত আছেন। কিন্তু এতদিন মৎস্যজীবী, মৎস্যবিক্রেতা, নৌকা ও ট্রলার মালিকদের নাম নিবন্ধীকরণের কোনও ব্যবস্থা ছিল না। নভেম্বর মাস থেকে শুরু হতে চলা দুয়ারে সরকার শিবিরে একটি ফর্ম পূরণ করে এবং তার সঙ্গে কিছু নথি জমা করার পর মৎস্যচাষীরা নিবন্ধীকরণ সংক্রান্ত তথ্য পাবেন। এরপর বিডিও অফিসে ভেরিফিকেশনের পর যোগ্য ব্যক্তিদেরকে সচিত্র পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।’ রাজ্য সরকারের (Fisherman- West Bengal) সিদ্ধান্ত, ভবিষ্যতে কেবলমাত্র নিবন্ধীকৃত মৎস্যচাষীরাই সরকারি প্রকল্পের সুবিধাগুলো পাওয়ার জন্য বিবেচিত হবেন। দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ক্ষেত্রে নিকট আত্মীয়রা ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ বিমার জন্য বিবেচিত হবেন।