প্রতিবেদন : ৭৫-ঊর্ধ্ব অমর দাস তাঁর ৬৭ বছর বয়স্কা স্ত্রী দীপ্তি দাসকে নিয়ে বসবাস করেন গড়ফার বাড়িতে। সন্তানরা চাকরিসূত্রে থাকেন রাজ্যের বাইরে। দুজনই কলকাতা পুলিশের ‘প্রণাম’ প্রকল্পের সদস্য। এঁদের দেখাশোনার দায়িত্বে আছেন থানার সিভিক ভলান্টিয়ার তরুণ ঘোষ। যে কোনও বিপদ-আপদে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ‘প্রণাম’ সদস্যদের কাছে তরুণবাবু তাঁর নিজের ফোন নম্বরও দিয়ে রেখেছেন।
আরও পড়ুন-বিমার আওতায় ১৫ লক্ষ মৎস্যজীবী
১৪ অক্টোবর বেলায় অমরবাবু তাঁকে ফোন করে জানান, আচমকা বাড়িতে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত তাঁর স্ত্রী। বাঁ পায়ে চোট পেয়ে উঠে দাঁড়াতে পারছেন না। হাসপাতালে নিয়ে যেতে অ্যাম্বুলেন্সের প্রয়োজন। ১০ মিনিটের মধ্যে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে অমরবাবুর বাড়ি হাজির হয়ে যান তরুণ। সেখানে পৌঁছে তিনি দেখেন, দীপ্তিদেবী যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন, কাঁধে ভর দিয়েও উঠে দাঁড়াতে পারছেন না। অ্যাম্বুলেন্স কর্মীদের সহযোগিতায় দীপ্তিদেবীকে স্ট্রেচারে করে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে তাঁকে দ্রুত নিয়ে যান নিকটবর্তী হাসপাতালে।