প্রতিবেদন : ‘কাঁথির এক বেইমান, কেন্দ্র সরকারকে চিঠি দিচ্ছে। কেন্দ্র যেন রাজ্যের প্রাপ্য টাকা আটকে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে শিক্ষা দেয়। ফলে গত ডিসেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার আবাস যোজনার টাকা পায়নি। অথচ উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ দিব্যি পাচ্ছে। গত অগাস্ট থেকে একশো দিনের বাকেয়া টাকাও পাচ্ছে না রাজ্য। গ্রামের হাজার হাজার শ্রমিক বঞ্চিত। তাই বিরোধী নেতা ও বিজেপি পঞ্চায়েতে ভোট চাইতে এলে একটিও ভোট না দিয়ে যোগ্য জবাব দিন।’ কাঁথিতে বিরোধী দলনেতা-সহ (BJP-Suvendu Adhikari) বিজেপিকে এভাবেই আক্রমণ করে, তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রচারের দিশা দিয়ে গেলেন পূর্ত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায়। শুক্রবার কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের আয়োজনে বিজয়া সম্মিলনীতে। কারামন্ত্রী অখিল গিরির প্রশ্ন, ‘বিরোধী দলনেতা পঞ্চায়েত ভোটেও কেন্দ্রীয় বাহিনী চান। তা ত্রিপুরায় পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না কেন?’ বিরোধী দলনেতাকে (BJP-Suvendu Adhikari) ‘চুরির স্কুলের হেডমাস্টার’ বলে কটাক্ষ করেন অখিল। বিজয়া সম্মিলনী কার্যত জনসভায় পরিণত হয়। সভায় জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপিকে বিসর্জন দিতে বলেন। এদিন ব্লকের বয়স্কদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ছিলেন তরুণ জানা, জ্যোতির্ময় কর, বিকাশ বেজ, মধুরিমা মণ্ডল, হরিসাধন দাস অধিকারী, প্রদীপ গায়েন, দেবাশিস পাহাড়ি, শুভ মাইতি, দীনেশ দাস প্রমুখ।
আরও পড়ুন: নিয়োগপত্র পেয়ে খুশি মেরি, তরুণ, সারিদরা