ছোটোদের রূপকথা
সম্পাদক : আশিসকুমার চট্টোপাধ্যায়
ছোটদের মনের মতো পত্রিকা। প্রকাশিত হয়েছে শারদীয়া সংখ্যা। গদ্যে-পদ্যে ঠাসা। ছড়া-কবিতার শুরুতেই কার্তিক ঘোষ। তাঁর ‘আকন বাঁকন’ মনের মধ্যে আনন্দের ঢেউ তোলে। ভাল লাগে পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘কোথায় পাবে তেমন ডানা’ ছড়াটি। পবিত্র সরকারের ‘সিঁড়ি’, দীপ মুখোপাধ্যায়ের ‘বেনারসি ছড়া’ এককথায় অনবদ্য। এ-ছাড়াও উল্লেখযোগ্য ছড়া-কবিতা লিখেছেন অরুণকুমার চক্রবর্তী, পার্থপ্রতিম আচার্য, নির্মল করণ, সমুদ্র বসু, রাজীব মিত্র, অলোককুমার প্রামাণিক প্রমুখ।
আছে নানা স্বাদের কয়েকটি গল্প। মন ছুঁয়ে যায় সুনির্মল চক্রবর্তীর ‘বিভূতিভূষণের গুরুমশাই’, সৌরভকুমার ভূঞ্যার ‘গোলমেলে সাক্ষাৎকার’, সঞ্জয় কর্মকারের ‘ভাল দৈত্যের গল্প’।
নাটক লিখেছেন তরুণকুমার সরখেল। শিরোনাম ‘চিত্রতীর্থের ইতিকথা’। ছোটরা মঞ্চস্থ করতে পারবে। ভ্রমণকথায় প্রবহনীল দাসের ‘আগ্রা ভ্রমণ’ এবং সমীরকুমারের ‘দার্জিলিং-এ বন্ধু’ পড়তে ভাল লাগে। কবিকথায় ভবানীপ্রসাদ মজুমদারকে নিয়ে গদ্য উপহার দিয়েছেন শ্যামাচরণ কর্মকার। এ-ছাড়াও আছে চিত্রকথা, ছোটদের কলম, জানার কথা, পুস্তককথা, কমিক্স, ছবির কথা। সবমিলিয়ে জমজমাট পুজো উপহার। দাম ১৫০ টাকা।
আরও পড়ুন-বিজেপির ভাঁওতা মানুষ ধরে ফেলেছে
ছোটদের কলরব
সম্পাদক : মেধস ঋষি বন্দ্যোপাধ্যায়
দশম বার্ষিক শারদ সংখ্যা। বিষয়বৈচিত্র্যে ভরপুর। পাতায় পাতায় ছড়িয়ে রয়েছে শিউলি সুবাস। ছোটদের বিভাগে আছে ষষ্ঠ শ্রেণির আহান বর্মন রায়ের ছড়া ‘খুকুমণির ইচ্ছে’, দশম শ্রেণির রোহক চক্রবর্তীর গল্প ‘অঙ্ক স্যার’। দুটি লেখাই প্রসংসার দাবি রাখে।
উপন্যাস লিখেছেন মধুসূদন ঘাটী। শিরোনাম ‘মিথ্যে রাজার বাড়ি’। সহজ সরল ভাষায় লেখা। রূপকথার রংয়ে রাঙিয়ে তুলতে পারে ছোটদের মন। নিয়ে যায় অচেনা এক জগতে। ভাল লাগে। মন কাড়ে আশিসকুমার মুখোপাধ্যায়ের নাটক ‘দশে দশ দশানন’।
আছে কয়েকটি সরস গল্প। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য গৌর বৈরাগীর ‘রূপকথার গল্প’, রতনতনু ঘাটীর ‘রানিমহলের নূপুর’, শিশির বিশ্বাসের ‘গুরু প্রণামি’, অনন্যা দাশের ‘ত্রিলোকেশ্বরের স্বর্ণমুদ্রা’, সাগরিকা রায়ের ‘হরিতকী আর খোকা’। বাকি গল্পগুলোও পড়তে পড়তে সময় কেটে যায়।
বিভিন্ন বিষয়ে প্রবন্ধ লিখেছেন কমলবিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়, সমুদ্র বসু, চন্দন নাথ, নুরুজামান শাহ প্রমুখ।
এবার খোলা যাক ছড়া-কবিতার ঝাঁপি। ছন্দের গন্ধে মনে দোলা জাগিয়েছেন পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, দীপ মুখোপাধ্যায়, জয়দীপ চক্রবর্তী, অপূর্বকুমার কুণ্ডু, সুখেন্দু মজুমদার, মৃণালকান্তি দাশ, অনির্বাণ ঘোষ, অচিন্ত্য সুরাল, মহুয়া ভট্টাচার্য গোস্বামী, স্বপনকুমার বিজলী প্রমুখ।
এ-ছাড়াও আছে অণুগল্প, ফিচার, কমিকস, কুইজ। সবমিলিয়ে আনন্দ-আয়োজন। দাম ১৩০ টাকা।
আরও পড়ুন-১০ দুষ্কৃতী মিলে গণধর্ষণ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে
কালি কলম মনন
সম্পাদক : ড. পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়
শারদীয়া সংখ্যায় আছে নানা বিষয়ের লেখা। আকর্ষণের কেন্দ্রে পূর্ণেন্দু পত্রী। শিল্প-সাহিত্যের বিবিধ শাখায় বিচরণ। তবু কিছুটা অনালোচিত, অনালোকিত। তাঁকে ঘিরে আছে একটি বিশেষ ক্রোড়পত্র। স্রষ্টার বিভিন্ন দিকের উপর আলোকপাত করেছেন তনিমা পত্রী, অনির্বাণ মৈত্র, পীযূষকান্তি সরকার, অমিত মণ্ডল প্রমুখ। প্রতিটি লেখাই গুরুত্বপূর্ণ, তথ্য সমৃদ্ধ।
আছে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিভাগ ‘ভালো থাকা’। বিভিন্ন রোগ থেকে ভাল থাকার উপায় বাতলেছেন কয়েকজন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞ। ‘ভালো ঘোরা’ এবং ‘ট্রেকিং’ বিভাগের লেখাগুলো ভ্রমণপিপাসুদের আনন্দ দেবে। দুটি লেখায় স্মরণ করা হয়েছে চলচ্চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদারকে। ছোটবেলার পুজোর সোনালি স্মৃতিতে ডুব দিয়েছেন স্বপ্নময় চক্রবর্তী, অম্বরিশ ভট্টাচার্য, জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, কৌশিকী চক্রবর্তী, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, অলকানন্দা রায়।
আরও পড়ুন-১০ দুষ্কৃতী মিলে গণধর্ষণ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে
আছে কয়েকটি মূল্যবান প্রবন্ধ। লিখেছেন ড. সঞ্জীব রায়, অনীশ ঘোষ, তনুশ্রী কাঞ্জিলাল মাশ্চরক, সুজিত রেজ, প্রীতিময় রায়বর্মন, মানস চক্রবর্তী প্রমুখ। নিবন্ধে লিপি চক্রবর্তী, প্রবীর চট্টোপাধ্যায়, সুমন কল্যাণ চক্রবর্তীর লেখা প্রশংসার দাবি রাখে। তিনটি নভেলেট। গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘স্বপ্ন আগামীর’, হেমন্ত জানার ‘গ্রহদোষ’, মহুয়া ব্যানার্জির ‘দ্য পারফেক্ট ক্রাইম’। পড়তে ভাল লাগে।
চমৎকার গল্প বুনেছেন তপন বন্দ্যোপাধ্যায়, চুমকি চট্টোপাধ্যায়, সুকুমার রুজ, ঋভু চট্টোপাধ্যায়, নিত্যরঞ্জন দেবনাথ প্রমুখ। শিবপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বড়গল্পটি অনবদ্য।
দীর্ঘ কবিতায় মুগ্ধ করেছেন অমিত কাশ্যপ, ড. পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও মনে রাখার মতো কবিতা উপহার দিয়েছেন শংকর চক্রবর্তী, শ্যামলকান্তি দাশ, পঙ্কজ সাহা, অশ্রুরঞ্জন চক্রবর্তী, সৌমিত বসু, দেবব্রত দত্ত, দেবাশিস চন্দ, সুস্মেলী দত্ত, জুলি লাহিড়ী, শকুন্তলা সান্যাল প্রমুখ। সবমিলিয়ে সুসজ্জিত একটি সংখ্যা। দাম ১৫০ টাকা।
আরও পড়ুন-ঋষিকে প্রধানমন্ত্রীর দৌড় থেকে সরে দাঁড়াতে অনুরোধ বরিসের
সোনারতরী
সম্পাদক : সন্দীপন বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রকাশিত হয়েছে দ্বিতীয় বর্ষ শারদ সংখ্যা। পাতায় পাতায় উৎকৃষ্ট মানের লেখা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ভারত-পথিক রামমোহন রায়’ ও সুভাষচন্দ্র বসুর ‘আমার স্কুলজীবন’ লেখা দুটি এই সংখ্যায় মুদ্রিত হয়েছে। পাশাপাশি আছে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ। ‘অরবিন্দ ও সুভাষচন্দ্র একই বৃন্তে দুটি কুসুম’ শিরোনামে অনবদ্য রচনা উপহার দিয়েছেন শুভেন্দু মজুমদার। সুভাষচন্দ্রকে অনুপ্রাণিত করেছিল অরবিন্দের স্বদেশচেতনা ও ভগবৎচেতনা, দুই মনীষীই ছিলেন আদ্যান্ত আস্তিক্যবাদী। বিষয়গুলো উঠে এসেছে লেখাটিতে। প্রণবকুমার পালের ‘রত্নগর্ভা’ একটি অনবদ্য রচনা। লিখেছেন চার বাঙালি বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু, প্রফুল্লচন্দ্র রায়, মেঘনাদ সাহা, সত্যেন্দ্রনাথ বসুর স্নেহময়ী জননীদের কথা। পাশাপাশি শাশ্বতী গাইন, শুভঙ্কর মল্লিক, আশিস গিরি, স্বপনকুমার ঘোষ, শৈবাল পত্রনবিশের রচনাগুলো পাঠক-মনকে ঋদ্ধ করবে।
মর্মস্পর্শী গল্প লিখেছেন রুমা ভট্টাচার্য, দীপঙ্কর গোস্বামী, মনজিৎ গাইন, জয়নারায়ণ সরকার, তপনকুমার দাস প্রমুখ। এ-ছাড়াও আছে নরেন্দ্রচন্দ্র মজুমদার, মাধব মিত্র, ত্রিদিব ঘোষ রায়, ফুল্লরা মুখোপাধ্যায় প্রমুখের কবিতা। উৎসব উপলক্ষে এক আন্তরিক আয়োজন। দাম ১০০ টাকা।