সুমন করাতি, হুগলি: দুশো বছর আগে চুঁচুড়া ষণ্ডেশ্বরতলার সোম পরিবারের বংশধর মহেশচন্দ্র সোম শ্যামবাবুর ঘাটে করুণাময়ী (Karunamoyee Kali) কালীমূর্তির প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ছিলেন বলভদ্রের বংশধর। শ্যামবাবুর ঘাটের গঙ্গার ধার ছিল অরণ্যাবৃত। সেখানেই ছিল সোম পরিবারের বাড়ি। করুণাময়ী (Karunamoyee Kali)মায়ের প্রতিষ্ঠার বিষয়ে চালু লোককথা, মহেশচন্দ্রের বাড়িতে রাজমিস্ত্রি কাজ করার সময় মাটির তলার বন্ধ দরজা খুলে এক কঙ্কালসার সন্ন্যাসীর দেখা মেলে। সামনেই ছিল সাদাপাথর আর একটি কষ্টিপাথর। ওই কষ্টিপাথর দিয়েই দাঁইহাট থেকে ভাস্কর এনে করুণাময়ী দেবীর মূর্তি গড়া হয়। কাজ সম্পূর্ণ হয় ১২১৫ বঙ্গাব্দে। এও শোনা যায়, মহেশচন্দ্র নিজের সমান ওজনের রুপো দিয়ে শ্বেতপাথর সংগ্রহ করেন। নিরিবিলি জায়গায় মা করুণাময়ী অধিষ্ঠান করছেন। সেবাইত-সহ পরিচালন সমিতির কর্তারা ২১৫ বছরের দীপাবলি উৎসব সম্পন্ন করতে কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছেন। দু’বছর করোনা আবহে সবরকম অনুষ্ঠান কাটছাঁট করতে হয়েছিল। এবার নতুন উদ্যমে ফের মায়ের পুজো করতে উদ্যোগী হয়েছেন।
আরও পড়ুন: এড়োয়ালির কালীপুজো: পারিবারিক মিলনমেলা