চন্দন মুখোপাধ্যায়, কাটোয়া: এক কালীর উচ্চতা ২৪ ফুট। আরেক কালী ২০ ফুটের। প্রাচীন দুই সুউচ্চ কালীপুজোয় মেতেছে মন্তেশ্বর। মন্তেশ্বরের জয়রামপুরের ২৪ ফুটের কালীর চরণতলে শোয়া শিবও ২১ ফুট লম্বা। আর খড়মপুরের কালীর উচ্চতা ২০ ফুট। এই ২ কালীকে ঘিরে নানা ঘটনার ঘনঘটা এলাকাবাসীদের মুখে মুখে ফেরে। ২০০ বছরেরও বেশি পুরনো খড়মপুরের কালীপুজো ভেস্তে যেতে বসেছিল ২০০১ সালে।
আরও পড়ুন –কালীর সঙ্গে অন্য দেবদেবীর পুজো হয় বংশবাটি গ্রামে
সেবাইতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এই কালীমূর্তির শরীরে যে কালো রং দেওয়া হয়, তা প্রদীপের আলো থেকে সৃষ্টি হওয়া ভুসো কালির রং। কালীপুজোর দিন ঢাউস ঢাউস প্রদীপ জ্বালিয়ে তার উপর রাখা হয় সারি সারি পিতলের সরা। সরায় জমা কালি দিয়ে রাঙানো হয় প্রতিমা। আর তাই দেখতে পঞ্চগ্রামের ভক্তজন ভেঙে পড়েন। ২০০১ সালে কিছুতেই কালি জমছিল না। এদিকে রং না হলে তো পুজো করা যাবে না। অনেক কসরত, প্রার্থনার পর কালি জমে। অমাবস্যা ছেড়ে যাওয়ার শেষ মুহূর্তে সম্পন্ন হয় পুজো। এবারে ১৪৯ বছরে পা রাখা জয়রামপুরের কালীপুজোকে ঘিরে আশপাশের বড় দাসপাড়া, ছোট দাসপাড়া, কুসুমগ্রাম, মালম্বা, বালিজুড়ি, সিংহালি প্রভৃতি গ্রামও মেতে ওঠে। মুসলিমরাও যোগ দেওয়ায় পুজোটি সম্প্রীতিরও প্রতীক। বিশেষ বৈশিষ্ট্য ৬ দিন ধরে পুজো হয়।