প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গে সামান্য ঝড় হল। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিও হল। কিন্তু সিত্রাংয়ের তাণ্ডব হয়নি। সিত্রাং পুরোপুরি বাংলাদেশের দিকে চলে যাওয়ায় রেহাই পেয়েছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গ। সোমবার রাতের দিকে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি থাকলেও মঙ্গলবার সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ ছিল রোদ ঝলমলে। ফলে কালীপুজো ও দীপাবলির আনন্দ মাটি হয়নি।
আরও পড়ুন-খবরটা গণশক্তি কেন লিখল না, অশোকবাবুর সৌজন্য সাক্ষাৎ
বরং গরম কমে যাওয়ায় মানুষ তা আরও উপভোগ করেছেন। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সিত্রাং এখন তার শক্তি হারিয়েছে। এবার তা নিম্নচাপে পরিণত হবে। আবহাওয়া অফিসের কথা শুনে স্বস্তিতে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। কিন্তু ভাগ্য অতটা প্রসন্ন হয়নি পড়শি দেশের। সিত্রাংয়ের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি বাংলাদেশ জুড়ে। জেলায় জেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিপুল। মৃত্যু হয়েছে এখনও পর্যন্ত ১১ জনের। আবহাওয়াবিদদের মতে, প্রথম থেকেই এলোমেলো ছিল সিত্রাং, যার ফলে গতিপথ বুঝতে সমস্যা হয়েছিল অনেকক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন-দীপাবলি ও সম্প্রীতির আলোয় আলোকময়
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, সে দেশের প্রায় ৮০ লক্ষ মানুষ এখনও বিদ্যুৎবিছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন। প্রচুর পরিমাণের মানুষের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নষ্ট হয়েছে ৬ হাজার হেক্টর জমির ফসল। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এখনও পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎমন্ত্রী জানিয়েছেন, আশা করা হচ্ছে, বুধবারের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।