প্রতিবেদন : স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালের একাংশের টালবাহানা রুখতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। প্রকল্পের সুবিধা না দেওয়ার জন্য চিকিৎসার বিল সময়মতো মেটানো হয় না বলে প্রায়শই ওজর আপত্তি তোলা হয়। এবার এই সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ করল স্বাস্থ্য দফতর। চলতি আর্থিক বছরে এ পর্যন্ত স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে বেসরকারি হাসপাতালের জমা করা বিলের ৯৫ শতাংশই মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর দফতর সূত্রে। বরং অনেক বেশি রয়েছে সরকারি হাসপাতালগুলির বকেয়া।
আরও পড়ুন-বিশ্বে হোয়াটসঅ্যাপ বিপর্যয়
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যসাথী বিমা প্রকল্পের আওতায় চলতি আর্থিক বছরে এপর্যন্ত ১৪০০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে সুবিধাভোগীদের চিকিৎসা খরচ বাবদ ২৫০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। বাকি টাকা বেসরকারি হাসপাতালের বিল মেটাতে খরচ করা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে। বেসরকারি হাসপতালের ৯৫ শতাংশ বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দফতরের দাবি। চলতি আর্থিক বছরের রাজ্য বাজেটে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের জন্য আড়াই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০২১-২২ আর্থিক বছরে এই প্রকল্পে ব্যয় করা হয়েছে ২২০০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন-সিত্রাংয়ে বাংলাদেশে বিপর্যয়
২০১৬ সালে রাজ্যে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত রাজ্যের ২ কোটির বেশি পরিবার এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করেছে। সুবিধা পেয়েছেন ২৪ লক্ষ ৮৫ হাজার মানুষ। তাঁদের বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে রাজ্য। ২০২০-র ডিসেম্বরে সিএমসি ভেলোরের সঙ্গে রাজ্যের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তার পরে এ পর্যন্ত রাজ্যের ৭,৬২০ জন রোগী ভেলোরে চিকিৎসা করিয়েছেন, যার জন্য ব্যয় হয়েছে ৮৭ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা।
আরও পড়ুন-খবরটা গণশক্তি কেন লিখল না, অশোকবাবুর সৌজন্য সাক্ষাৎ
প্রসঙ্গত, বাংলার সমস্ত মানুষকে নিখরচায় সার্বিক স্বাস্থ্য পরিষেবার আওতায় আনতে রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী বা যে কোনও কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারি হেলথ কার্ড সঙ্গে থাকা বাধ্যতামূলক করেছে স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বা কেন্দ্রের সিজিএইচএস কার্ড অথবা ইএসআই কার্ড দেখাতে হবে। কারও কাছে যদি হাসপাতালে ভর্তির সময় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকে, তাহলে আধার নম্বর দিয়ে স্বাস্থ্য কার্ড সংক্রান্ত তথ্য জানিয়ে ভর্তি হওয়া যাবে। এছাড়াও রাজ্য সরকার অথবা সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের তরফেই রোগীর পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরি করে দেওয়া হবে।