প্রতিবেদন : নিটে (NEET- West Bengal) এগিয়ে আসছে রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়ারা। যদিও এখনও সিবিএসই-র পড়ুয়ারা এগিয়ে। কিন্তু উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অধীনে থাকা স্কুলগুলির পড়ুয়ারাও দ্রুত নিজেদের জায়গা তৈরি করছে। গত কয়েক বছর ধরেই এই সাফল্য নজরে আসছে। তবে এ-বছর হারটা অনেক বেশি।
সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদারের মতে, নতুন সিলেবাস তৈরি হয়েছে ২০১৩ থেকে। সেই সিলেবাস অনুযায়ী লেখাপড়া করার ফলেই সাফল্য আসছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাংলায় লেখার সুবিধা। এতদিন ধরে ইংরেজিতে উত্তর দিতে হত পরীক্ষার্থীদের। সেখানে অনেক সময় সমস্যা দেখা দিত। কিন্তু নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বাংলায় উত্তর লেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন-ভূরিভোজে বাবুর জন্মদিন
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, সিবিএসই-র পড়ুয়াদের সঙ্গে উচ্চমাধ্যমিকের পড়ুয়াদের পার্থক্য কমিয়ে আনার নিরন্তর চেষ্টা করা হচ্ছে। উচ্চমাধ্যমিকের বিজ্ঞান এবং অঙ্কের সিলেবাসে পরিবর্তন করা হচ্ছে। এইসব কারণেই সাফল্যের হার বাড়ছে বাংলার পড়ুয়াদের।
একনজরে ২০২২-এর নিট রিপোর্ট কার্ড—
* রাজ্যের বোর্ডের ৬৪,৮০১ পড়ুয়া পরীক্ষা দেয়
* ১১,০০৭ জন সফল হয়েছে
* সাফল্যের হার ১৬.৯ শতাংশ
* ১৫,০৯৬ জন সিবিএসসির পড়ুয়া পরীক্ষা দেয়
* সফল হয়েছে ৩,৬৯৮
* সাফল্যের হার ২৪.৫ শতাংশ
বাংলার (NEET- West Bengal) পড়ুয়াদের মেধা যথেষ্ট বেশি, এ-কথা মানেন প্রায় সবাই। তবে সর্বভারতীয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে অনেক সময়ই কিছুটা পিছিয়ে পড়তে দেখা যায় তাদের। বাম আমলে দীর্ঘদিন ধরে পুরনো সিলেবাসে লেখাপড়া করার ফলেই এই সমস্যা দেখা দিয়েছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পরে সিলেবাসেও পরিবর্তন করা হয়েছে। সেটাকে করা হয়েছে জাতীয় স্তরের। এর ফলেই সর্বভারতীয় ক্ষেত্রের পরীক্ষায় সাফল্য পাচ্ছে বাংলার পড়ুয়ারা। রাজ্যের শিক্ষার মানোন্নয়নে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।