অপরাজিতা জোয়ারদার, রায়গঞ্জ: জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কানহাইয়ালাল আগরওয়ালের স্পষ্ট কথা, ইংরেজরাও চেষ্টা করে বঙ্গভঙ্গ (Partition of Bengal) করতে পারেনি। বিজেপির তরফে শুধুমাত্র রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে এই ধরনের মন্তব্য ছড়ানো হচ্ছে। বঙ্গভঙ্গ (Partition of Bengal) কখনওই হবে না। এর আগেও গোর্খাল্যান্ড করা নিয়ে রাজনীতিতে নেমেছিল বিজেপি। বাংলার মানুষ এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।
তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী বললেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বঙ্গভঙ্গ নয়, সংঘের রাজনীতি করেন। আমরা তাঁর অনুগামী। তাই এই পশ্চিমবঙ্গের মানুষ কখনওই বঙ্গভঙ্গ সমর্থন করে না। কাজেই বিজেপি যা-ই করুক তাদের মনোবাঞ্ছা কখনও পূরণ হবে না। উত্তরবঙ্গ-দক্ষিণবঙ্গ পশ্চিমবঙ্গে সর্বদা এক ভাবেই থাকবে। কেউ তাদের আলাদা করতে পারবে না।’’
আরও পড়ুন-মাত্র দশ মাসে অসাধারণ সাফল্য রাজ্যের স্বাস্থ্য ইঙ্গিত প্রকল্পে
রায়গঞ্জ কালচারাল ফোরামের সম্পাদক শান্তনু চট্টোপাধ্যায় মনে করেন, ঐতিহাসিক কারণে পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গের উদ্ভব। পাহাড় থেকে সমুদ্র বৈচিত্রে ভরা পশ্চিমবঙ্গ। উত্তরবঙ্গের মানুষ হিসেবে কিছুটা পিছিয়ে পড়া মনে হলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসার পর থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের মুখ দেখেছে এখানকার মানুষ। তাই বঙ্গভঙ্গ নয়, বাংলার উন্নয়নই চাই আমরা। উত্তর-দক্ষিণ ভাগাভাগি নয়, সবদিক থেকে উন্নতি হোক বাংলার।
চিকিৎসক জয়ন্ত ভট্টাচার্যের দাবি, উত্তরবঙ্গ ব্রিটিশ শাসনকাল থেকে অবহেলিত। পর্যটন ও চা-শিল্প ছাড়া উন্নয়ন হয়নি বহুদিন। তাই উত্তরবঙ্গের এই বিভাজন শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করবে আর সাধারণ মানুষকে অর্থনৈতিক ভাবে বহুগুণ পিছিয়ে দেবে। তাই নৈতিকভাবে আমি এই বিভাজন সমর্থন করি না।