প্রতিবেদন : হিন্দুদের ঘরে ঘরে ভাইদের মঙ্গল কামনায় বৃহস্পতিবার দিনভর চলল ভাইফোঁটার আয়োজন। ব্যতিক্রম নদিয়া জেলার মদনপুরের কাছে বিরহী। যমুনা নদীর ধারে মদনগোপাল মন্দির চত্বরে ভাইফোঁটার উৎসবে মাতলেন এলাকার হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ। নদিয়ার মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা।
আরও পড়ুন-বিমান তৈরিতে টাটা
৫০০ বছর ধরে মদনগোপালের মন্দিরে হয়ে আসছে ভাইফোঁটা উৎসব। অনেক আগে ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে যমুনা নদীতে স্নান সেরে শুদ্ধ বস্ত্র পরে, যাঁদের ভাই নেই, হিন্দুঘরের সেই মেয়েরা মদনগোপালকে ফোঁটা দিতেন। তারপর চলত গণভাইফোঁটা। এলাকায় প্রচুর মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষের বাস। তাঁরাও হিন্দুরীতি অনুসরণ করে উৎসবে অংশ নিতেন। সাতদিন বসত মেলা। এখন কোনও পরিবারে ভাই আছে, বোন নেই। কোথাও উল্টোটা। বিরহীর উৎসবের জমক তাই আরও বেড়েছে। সকাল থেকে উপোস করে মদনগোপাল মন্দিরে এসে প্রথা মেনে বিগ্রহের কপালে চন্দনের তিলক এঁকে দেন মেয়েরা। এরপর শতাধিক ভাইবোন একে অপরকে ফোঁটা দিয়ে সাড়ম্বরে পালন করেন দিনটি। সেখানে শামিল থাকেন মুসলিম ঘরের বোন সাবানা, রিজিয়া, রুবিনারাও।