মানস দাস, মালদহ: ক্ষুদ্র, কুটিরশিল্প দফতরের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেনের স্পষ্ট কথা, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যতই চেষ্টা করুক না কেন, যতদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন, তা কখনও বাস্তবায়িত হবে না। বাংলায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রয়েছে। এখানে হিন্দু মুসলিম শিখ জৈন খ্রিস্টান-সহ বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষ বসবাস করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেঁচে থাকা পর্যন্ত বাংলা ভাগ করতে পারবেন না। বিজেপি যে দিবাস্বপ্ন দেখছে তা কোনওদিনই সফল হবে না। এই চক্রান্তের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন-পারথে ফিরল ভারতীয় দল, এবার বাউন্সি উইকেটে পরীক্ষা সূর্যদের, রোহিতদের সামনে রাবাডার চ্যালেঞ্জ
বিধায়ক তথা মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আবদুর রহিম বক্সি জোরের সঙ্গেই বলেন, আমরা বাঙালি। কেউ উত্তরে থাকেন, কেউ দক্ষিণে থাকেন। রাজ্য একটাই— পশ্চিমবাংলা। বাঙালির ঐতিহ্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকা। রাজ্যভাগ, সাম্প্রদায়িকতা ইত্যাদির বিদ্বেষ ছড়ানো এগুলি বিজেপির সংস্কৃতি। বিজেপি শতবার চেষ্টা করেও বাঙালিদের মনে বিভেদ সৃষ্টি করতে পারবে না। আমরা এক ছিলাম, একই থাকব। আমি আশাবাদী, বিজেপির সব চক্রান্তকে নস্যাৎ করে দিয়ে আমরা, বাঙালিরা একই রাজ্যে আছি এবং থাকব। চক্রান্তকারী বিজেপির এই অসৎ উদ্দেশ্য বিফল হবে। প্রতিবাদে গর্জে উঠবে বাঙালিরা।
আরও পড়ুন-এবার এক দেশ এক উর্দির নামে রাজ্যের অধিকার কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত কেন্দ্রের
বিশিষ্ট শিক্ষক অমল ঘোষ জানালেন, বিজেপি বাংলাভাগ করার চক্রান্ত করে সঙ্কীর্ণ রাজনীতি করছে। এর ফলে অর্থনৈতিক কোনও উন্নয়ন হবে না। মানুষ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন চায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৭২টি প্রকল্পের মাধ্যমে পরিষেবা দিয়ে চলেছেন। নমশূদ্র বিকাশ পরিষদ, জিটিএ-সহ একাধিক জাতির উন্নয়নে বোর্ড গঠন করে উন্নয়নের প্রয়াস চালাচ্ছেন। পিছিয়ে-পড়া জাতিকে চিহ্নিত করে তাদের উন্নয়নের জন্য তাদের লোকজনদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এগুলি আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন। তাহলে রাজ্যভাগের কোনও প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।
আরও পড়ুন-কর্মসংস্থানের হাল খুবই খারাপ, উদ্বেগ প্রাক্তন আরবিআই গভর্নরের
আইনজীবী শ্যামপ্রসাদ গুপ্তের অভিযোগ, কেন্দ্র সরকার বাংলাকে বারবার বঞ্চিত করছে। কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের বিস্তর পাওনাগণ্ডা রয়েছে। সেগুলি না দিয়ে বাংলাকে অনুন্নয়নের দিকে ঠেলে দিচ্ছে কেন্দ্র। এটা ঠিক নয়। এখন আবার বাংলাভাগের চক্রান্ত করছে। তা মেনে নেবে না বাংলার মানুষ। দেশ স্বাধীনের সময় যেমন ইংরেজদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল বাঙালিরা। তেমনি এমন কিছু ঘটনা ঘটলে বাংলার মানুষ গর্জে ওঠে তার প্রতিবাদ জানাবে।