প্রতিবেদন : তথ্য-প্রযুক্তি আইনে সংশোধন এনে এবার সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের জন্য একটি কমিটি গড়তে চলেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। এখন থেকে কেন্দ্র সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নজরদারি চালাবে। সেক্ষেত্রে ফেসবুক বা ট্যুইটারের মতো জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যমগুলিতে পোস্ট কেন সরিয়ে দেওয়া হল, এমন সমস্ত অভিযোগের নিষ্পত্তি হবে মাত্র ৩ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে! স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে সংশোধন করা হল তথ্য-প্রযুক্তি আইন।
আরও পড়ুন-সায়ন্তনের বিদ্রোহে বিজেপি আড়াআড়িভাবে ভাঙছে
সংশোধিত আইনে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর অভিযোগ শোনার জন্য কমিটি গঠন করা হবে। প্রতিটি কমিটিতে থাকবেন ৩ জন সদস্য। শীর্ষ আধিকারিক ছাড়াও থাকবেন আরও ২ জন আধিকারিক। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে যদি কোনও পোস্ট মুছে দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে এই কমিটির কাছে অভিযোগ জানানো যাবে। সেই অভিযোগ পাওয়ার ৩ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে কারণ-সহ সমস্যার নিষ্পত্তি করা হবে। পাশাপাশি সেলিব্রেটি বা সুপরিচিত ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টই শুধু নয়, সমস্ত ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট ভেরিভায়েড হতে হবে।
আরও পড়ুন-আজ ছটপুজোর উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী
অনেকটা ফেসবুকের ব্লুটিক অ্যাকাউন্টের মতো। অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বেচ্ছায় অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন করতে তথ্য-প্রযুক্তি আইন ২০২-এর সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। বিরোধীদের বক্তব্য, আসলে সরকার বিরোধী পোষ্ট, মন্তব্য, ছবি কিংবা আন্দোলন বন্ধ করতেই স্বৈরাচারী মনোভাব নিয়েছে কেন্দ্র। মানুষ বুঝতে পারছেন। শুক্রবারই প্রধানমন্ত্রী শহুরে নকশালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে জনবিরোধিতার কণ্ঠরোধ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ করেছে।