কাবুল : তালিবানের দাবি, তারা আর আগের মতো নেই। কিন্তু তা আদৌ বিশ্বাস করছেন না খোদ আফগানিস্তানের নাগরিকরাই। সে কারণে আফগানিস্তানের শীর্ষস্থানীয় মহিলা নেতারা একে একে দেশ ছাড়তে শুরু করেছেন। যাঁরা এখনও দেশ ছাড়তে পারেননি, তাঁরা চলে গিয়েছেন গোপন আস্তানায়। নর্দার্ন বাদাখশান প্রদেশের প্রাক্তন মহিলা ভাইস-প্রেসিডেন্ট কোফি জানিয়েছেন, নতুন সরকারে যাতে মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব রাখা হয় সে জন্য তিনি তালিবান নেতাদের অনুরোধ করেছিলেন। যদিও কোফির সেই অনুরোধকে আদৌ ভালভাবে নেয়নি তালিবান।
আরও পড়ুন :আফগানিস্তানে ১১০ কোটি ডলার সাহায্য বিশ্বের
যে কারণে তালিবান আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার সপ্তাহ দু’য়েকের মধ্যেই কোফি দেশ ছাড়েন। পূর্বতন আফগান সরকারের পার্লামেন্ট বিষয়ক কমিশনের চেয়ারপার্সন ছিলেন ফরিদা। আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গির ফরিদা গতবছর চালু করেছিলেন শিশুদের বার্থ সার্টিফিকেটে মায়ের নাম ব্যবহার। কিন্তু তালিবান ক্ষমতায় আসার পর নিজের জীবনের কথা ভেবে ফরিদা দেশ ছেড়েছেন। আফগানিস্তানের সবচেয়ে কম বয়সি মহিলা মেয়র ছিলেন জারিফা ঘাফারি। জারিফাও সপরিবার দেশ ছেড়ে জার্মানিতে আশ্রয় নিয়েছেন। নরওয়েতে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত ছিলেন শুকরিয়া বারাকজাই। তালিবান দেশের ক্ষমতার দখল নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি দেশ ছেড়েছেন। এছাড়া তালিবানের সঙ্গে শান্তি বৈঠকে অংশ নেওয়া নেত্রী সারাবিও এখন গোপন আস্তানায় চলে গিয়েছেন।