প্রতিবেদন : এতদিন ভারত বারেবারে যে অভিযোগ করে এসেছে এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেই একই অভিযোগ করলেন মার্কিন বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। মার্কিন হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ব্লিঙ্কেন বলেন, তালিবান, হাক্কানি জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া-সহ সব ধরনের মদত দিত পাকিস্তান। পাকিস্তানকে বারেবারে জঙ্গিদের মদত বন্ধ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা সেই অনুরোধ রাখেনি। বরং তালিবান ও অন্য জঙ্গিদের নিয়মিত আশ্রয় দিয়েছে।
ওই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যরা ব্লিঙ্কেনের কাছে জানতে চান, এই পরিস্থিতিতে আমেরিকা কি পাকিস্তানের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে ভাবনাচিন্তা করবে। উত্তরে ব্লিঙ্কেন জানান, অবশ্যই। ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, খুব শীঘ্রই আমরা খতিয়ে দেখব যে গত ২০ বছরে পাকিস্তান কাবুলে কী ভূমিকা পালন করেছে। আগামী দিনে আফগানিস্তানে ইসলামাবাদ কী ধরনের ভূমিকা নেবে, সেটাও খতিয়ে দেখা হবে। উল্লেখ্য, এর আগে ভারত একাধিকবার অভিযোগ করে এসেছে যে, লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে পাকিস্তান। এমনকী, সীমান্তে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশেও সাহায্য করছে। আমেরিকার এদিনের মন্তব্যে ভারতের সেই দাবিই মান্যতা পেল।
আরও পড়ুন :ভিক্ষা করে মাসে আয় ৭৫ হাজারের উপর!
তালিবান নতুন সরকার গঠন করলেও চরম আর্থিক সংকটে ভুগছে তালিবান প্রশাসন। ডলারের সঞ্চয়ে বিপুল ঘাটতি। বিভিন্ন ব্যাঙ্কে আফগান সরকারের যে টাকা পড়ে রয়েছে, তাতেও হাত দিতে পারছে না তালিবান। এই অবস্থায় পাকিস্তানে ডেইলি জং নামে এক সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর বলা হয়, এই মুহূর্তে আফগানিস্তানের ডলারের সঞ্চয় একেবারে তলানিতে। তাই চলতি পরিস্থিতিতে কাবুল ও ইসলামাবাদের মধ্যে যে বাণিজ্যিক লেনদেন হবে তা মেটানো হবে পাকিস্তানি মুদ্রায়। কিন্তু পাকিস্তানের সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন আফগান ব্যবসায়ীরা। আফগান ব্যবসায়ীরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা পাকিস্তানের এই প্রস্তাবে কখনওই সহমত নন। অন্যদিকে পাকিস্তান নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে আফগানিস্তানের সঙ্গে চমন সীমান্ত সাময়িক বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী শেখ রশিদ সীমান্ত বন্ধ করার খবর জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন :৭ বছর পিছিয়ে ক্যালেন্ডার মহাসংকটেও ২০১৪ সালকে সাদরে বরণ করছে এই দেশ
সরকার গঠন করলেও ইতিমধ্যেই ঘরে-বাইরে প্রবল চাপে রয়েছে তালিবান। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই এখনও তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। যার মধ্যে ভারতও রয়েছে। তবে কূটনৈতিক মহল মনে করছে, নরেন্দ্র মোদি সরকারও সম্ভবত তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেবে। এর মধ্যেই শুক্রবার তাজিকিস্তানে বসতে চলেছে সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠক।