সংবাদদাতা, হুগলি : গভীর রাত পর্যন্ত চলল কার্নিভাল। আবেগাপ্লুত চন্দননগর। তবু হৈমন্তিকা বিদায় বিষাদের সুর। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুরু হয়ে যায় চন্দননগরের ঐতিহাসিক জগদ্ধাত্রী উৎসবের বিসর্জনের শোভাযাত্রা। তাই দেখতে রাস্তার দু’পাশে ভিড় জমান অসংখ্য মানুষ। চন্দননগর মানেই আলোর খেলা। আলোকশিল্পীদের প্রতিভার নিত্যনতুন প্রতিফলন।
আরও পড়ুন-শাড়ি পরে বরণ করলেন ছেলেরাই
সন্ধ্যা নামতেই বিসর্জনের শোভাযাত্রাতেও সেই শিল্প প্রতিভারই বিকাশ দেখে মুগ্ধ হাজারো জনতা। মহিলাদের সিঁদুরখেলার পর বিভিন্ন পুজাে মণ্ডপ থেকে আলোকমালায় সুসজ্জিত প্রতিমা এগিয়ে চলে রাজপথ ধরে। বাড়ির ঠাকুরও বেলা থাকতে থাকতেই বিসর্জনের পথে। গত দু’বছরে কোভিডত্রাসে এমন বিসর্জন পর্ব দেখা যায়নি। কিন্তু আবার পৃথিবীর শান্ত হওয়ায় এখানকার ঐতিহ্যমণ্ডিত জগদ্ধাত্রী পুজোর র্যালি শুরু হয়ে গিয়েছে। রাতের কার্নিভালে অংশ নিয়েছেন প্রায় ৩০টি বড় পুজোর উদ্যোক্তারা। নানা ধরনের ট্যাবলো, নানা নানা বৈদ্যুতিক আলোর কারুকার্য। এখানকার আলোর জাদুকরদের খ্যাতি সারা পৃথিবীতে আজ সমাদৃত। চন্দননগরের আলোর জাদুকররা অপেক্ষা করে থাকেন এই দিনটির জন্য। তাঁদের মস্তিষ্কপ্রসূত আলোর জাদু মোহিত করে সাধারণ মানুষকে।
আরও পড়ুন-সবুজ বাজি উৎসাহ দেবে রাজ্য
চন্দননগরের এই মায়াবী আলোর জাদু দেখতে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ নয়, ভিনরাজ্য, ভিনদেশ থেকেও প্রচুর পর্যটক এই দিনটিতে চন্দননগরে এসে উপস্থিত হন। বিকেল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তার দু’ধার দখল নিয়ে নিয়েছেন দর্শনার্থীরা। উল্লাসে মেতে উঠছেন তাঁরা। তিলধারণের ঠাঁই নেই বাড়ি ছাদ, বারান্দাগুলিতেও। সব পথ মিশে গেছে স্ট্যান্ড রোডের বিসর্জন ঘাটের কাছে। এদিকে দশমীর বিসর্জনপর্ব যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে পারে তার জন্য পুলিশ প্রশাসন এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক ব্যবস্থা নেওয়া হয়, প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে সারা চন্দননগর জুড়ে যাতে কোনওরকম কোনও অপ্রীতকর ঘটনা না ঘটতে পারে। এর সঙ্গে সঙ্গে ড্রোনেরও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। ড্রোন থেকে এই শোভাযাত্রার গতিপথ গুলি লক্ষ্য করা হচ্ছে। বিসর্জন ঘাটগুলিতেও ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গঙ্গাবক্ষে চলেছে পুলিশি টহল।