প্রতিবেদন : গুজরাতের মোরবিতে সেতু দুর্ঘটনার তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ওই সেতুটি সংস্কারের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ২ কোটি টাকা। কিন্তু মেরামতির দায়িত্বে থাকা সংস্থা ওরেভা কাজটির জন্য খরচ করেছে মাত্র ১২ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ মোট বরাদ্দকৃত অর্থের মাত্র ৬ শতাংশ টাকা খরচ করে সেতুটির মেরামত করা হয়েছে। সেতুর যে অংশ মেরামত করার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল সংশ্লিষ্ট সংস্থা সেই অংশের সংস্কারে আদৌ হাত দেয়নি। পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের আগেই সেতুটি ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-১২-০-তে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস, হলদিয়া সুতাহাটা সমবায় ভোটে দুরমুশ বাম-বিজেপি
১৪০ বছরের পুরনো ওই সেতুটির কেবল মেরামত করার কথা ছিল। বয়সজনিত কারণে বেশিরভাগ কেবলই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ওইসব কেবল বদলে নতুন কেবল বসানোর দায়িত্ব ছিল ওরেভার। কিন্তু সংস্থা সেই কাজে আদৌ হাত দেয়নি। জোড়াতালি দিয়ে শুধুমাত্র রং করে তারা সেতুর মেরামতির কাজ শেষ করেছিল। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ভেঙে পড়ার পর সেতুর কিছু অংশ পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছিল। ফরেনসিক ল্যাবের পরীক্ষাতেই উঠে এসেছে এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
আরও পড়ুন-মানুষের আবেগে নন্দীগ্রামে বিজেপি পার্টি অফিস হল তৃণমূলের কার্যালয়
তবে এখানেই শেষ নয়, ওরেভা সংস্থা সেতু সংস্কারের বরাত পাওয়ার পর কাজের আংশিক দায়িত্ব তুলে দেয় প্রকাশ সলিউশন নামে অন্য এক সংস্থার হাতে। যে সংস্থার সেতু মেরামতির কোনও রকম অভিজ্ঞতাই নেই। এ ঘটনায় গুজরাত পুলিশ ইতিমধ্যেই ওরেভার নয় কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। যদিও সংস্থার পদস্থ কর্তাদের টিকিও ছুঁতে পারেনি পুলিশ। ওরেভার নামে শুধুই একটি অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের হয়েছে।